সরকারি চাকরি পাওয়া কি মুখের কথা। অনেকেই বছরের পর বছর ধরে এই সরকারি চাকরির দিকে মুখ চেয়ে বসে থাকেন। কিন্তু মেলে আর না। কঠিন পরিশ্রম করেও সরকারি চাকরি মেলে না অনেকের। তবে তৃপ্তি ভাটের ক্ষেত্রে স্টোরিটা কিছুটা অন্যরকম। তিনি একের পর এক সরকারি চাকরির প্রস্তাব হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছেন তিনি। আজ সফল আইপিএস তৃপ্তি ভাট।
কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন তৃপ্তি ভট্ট?
শিক্ষক পরিবারের সন্তান তৃপ্তি। পড়াশোনার পরিবেশ ছিল বাড়িতে। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর স্কুলে এসেছিলেন এপিজে আব্দুল কালাম। তিনিও ছিলেন তৃপ্তির অন্য়তম অনুপ্রেরণা। হাতে লিখে তৃপ্তিকে চিঠি দিয়েছিলেন খোদ এপিজে আব্দুল কালাম। সেখানে তিনি লিখেছেন. তুমি দেশ সেবা করো।
এরপর পন্থনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাশ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে ন্যাশানাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে তিনি চাকরি করতেন। তবে বেশিদিন এই চাকরি করেননি তিনি। এরপর অন্তত ১৬টি সরকারি জায়গা থেকে চাকরির প্রস্তাব এসেছে তাঁর কাছে। কিন্তু মনের মধ্য়ে তখন অন্য লক্ষ্য তৃপ্তির। দেশ সেবা করতে হবে। আর সেই দেশ সেবার জন্য় আইপিএস পেশাকে বেছে নিতে চান।
এরপর শুরু হল নিজেকে তৈরি করার কাজ। সিভিল সার্ভিসের জন্য় তিনি নিজেকে তৈরি করতে শুরু করেন। শুরু হল কঠিন পরিশ্রম। ২০১৩ সালে প্রথমবার ইউপিএসসিতে বসেছিলেন তৃপ্তি।প্রথম পরীক্ষাতেই পাশ করেন তিনি। দেরাদুনের পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। দেশ সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃপ্তি ভট্ট।