আমাদের রান্নাঘরে থাকা নানা মশলা দিয়ে যেমন চট করে বেড়ে যায় খাবারের স্বাদ, তেমনই সেই সব মশলার ব্যবহারে আপনি ঝটাপট কমিয়ে ফেলতে পারবেন ওজনও। কমবে পেটের মেদ-ও। আজকে চলুন কালোজিরের নানা উপকারিতার গল্প শুনে নেওয়া যাক। দেখে নিন রোজ কালোজিরে খেতে চাইলে কী কী সাবধানতা আপনাদের মেনে চলতে হবে। ওজন কমিয়ে দিতে পারে কালোজিরে: টানা তিন মাস কালোজিরে খেলে অনেকটাই কমবে আপনাদের ওজন। কমবে পেটের জমে থাকা চর্বি বা মেদও। কালো জিরে শরীরে জমে থাকা চর্বি গলিয়ে তা মল ও মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই পাবেন আপনার আকাঙ্খিত চেহারা। কালোজিরে-র মূত্রবর্ধক প্রভাবের কারণে এর নিয়মিত ব্যবহার ওজন কমাতে সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে নানা গবেষণায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এটি আমাদের শরীরে থাকে ইমিউন কোষগুলোকে আরও সতেজ করে তোলে। যার ফলে আমাদের শরীর যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হয়। কালো জিরে আমাদের শরীরে থাকা বোন ম্যারো (অস্থিমজ্জা), ন্যাচারাল ইন্টারফেরন (একধরনের প্রোটিন, যা রোগ প্রিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়) এবং ইমিউনিটি কোষের মাধ্যমে আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এটি ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দূর করে। শরীরে শক্তি সঞ্চার করতে সাহায্য করে। পেটের সমস্যায় কার্যকরী: কালোজিরে-তে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল এজেন্ট পেটের নানা সমস্যায় খুব উপকারী। এটি বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, পেটে কৃমি ইত্যাদি সমস্যায় দারুণ কাজে আসে। গুরুপাক খাওয়ার পর একটু কালোজিরে চিবিয়ে খেলে খুব উপকার পাবেন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা লাগার সমস্যা: সর্দি -কাশির মতো ঠান্ডা, কফ, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা শ্বাসনালীতে সমস্যার ক্ষেত্রে কালোজিরা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। কালোজিরে সামান্য বেটে কাঁচা তেল দিয়ে তা গরম ভাতের সঙ্গে খান। একটা সুতির কাপড়ে কালোজিরে বেঁধে তার গন্ধ শুকলেও নাক খুলে যায় ঝটাপট। এটি হাঁপানি, হুপিং কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যালার্জির কারণে দেখা দেওয়া শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী।কী কী অবললম্বন করবেন কালোজিরে খাওয়ার সময়?কালোজিরে শরীরকে গরম করে দেয়। এই কারণে দিনে তিন গ্রামের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশেষ করে সেইসব মানুষ, যাদের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক সময়তেই একটু বেশির দিকে থাকে, যাঁদের উচ্চ-রক্তচাপের সমস্যা আছে, যাঁরা গর্ভবতী এবং ৫ বছরের ছোট বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। শিশুরা দিনে ১ গ্রাম মতো কালোজিরে খেতে পারেন। অন্তঃসত্ত্বারা কালোজিরে খাওয়ারব আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।