নৈনিতালের কাছে অবস্থিত কৈঞ্চিধাম আশ্রম তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিম কারোলি বাবার দর্শন পেতে সেখানে ভক্তদের বিশাল ভিড় জমে। বাবার সাথে সম্পর্কিত অনেক গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এবং অনেকেই কৈঞ্চিধামে যেতে চান। যদি আপনিও তাদের একজন হন, তাহলে সেখানে যাওয়ার আগে কিছু জিনিস জেনে রাখা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে সেখানে পৌঁছাতে আপনাকে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।
কাইঞ্চিধাম কিভাবে পৌঁছাবেন
নৈনিতাল থেকে কৈঞ্চিধাম প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে। আশ্রমে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি সড়ক, ট্রেন নাকি বিমানে যেতে চান।
ট্রেন: যদি আপনি ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে কাঠগোদাম স্টেশনে নামতে হবে। এখান থেকে আপনি ব্যক্তিগত বা শেয়ারিং ক্যাব নিতে পারেন। যদি ২ জন বা একক ব্যক্তি থাকে তাহলে আপনি স্কুটারটি ভাড়া নিতে পারেন। এটি একটি প্রাইভেট ক্যাবের তুলনায় অনেক সস্তা হবে এবং আপনি সুন্দর রুটগুলি উপভোগ করতেও সক্ষম হবেন। কাঠগোদাম থেকে কাইঞ্চিধাম প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে।
বিমান: যদি আপনি বিমানে যেতে চান তবে আপনাকে পন্তনগর বিমানবন্দরে যেতে হবে। এখান থেকে আপনাকে ৭০ কিলোমিটার পথ কাইচিধাম যেতে হবে। এর জন্য আপনি বিমানবন্দর থেকেই ট্যাক্সি বা বাস নিতে পারেন।
রাস্তা: আপনি যদি নিজের যানবাহন বা বাসে যেতে চান, তাহলে কাইঞ্চিধামের কাছাকাছি যেকোনো শহরে পৌঁছে সহজেই কাইঞ্চিধাম আশ্রমে পৌঁছাতে পারবেন।
কোন দিন যেতে হবে
যদি ভিড় এড়াতে চান, তাহলে সপ্তাহান্তে যাবেন না। সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে, থাকা থেকে শুরু করে গাড়ি পর্যন্ত সবকিছুই ব্যয়বহুল। আশ্রমেও প্রচুর ভিড়। মঙ্গলবার এবং শনিবারেও অনেকে মন্দিরে যান।
কোন ঋতুতে যেতে হবে?
বর্ষাকালে সেখানে আপনার সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। প্রচণ্ড গরম এবং বৃষ্টিতে বাইরে যাওয়া এড়াতে পারেন। যেকোনো ঋতুতেই সেখানে বৃষ্টি হতে পারে তাই সাথে রেইনকোট রাখুন।
সময়
যদি ভিড় এবং অসুবিধা এড়াতে চান তাহলে সকাল ৭টার মধ্যে আশ্রমে পৌঁছান। এর মাধ্যমে আপনি রাস্তায় যানজট এড়াতে পারবেন এবং মন্দিরে আরতিও দেখতে পাবেন।
পোশাক
আশ্রমে একটি নোটিশ বোর্ডও রয়েছে যেখানে লোকেদের শালীন পোশাক পরতে বলা হয়েছে। শর্টস পরা এবং খোলামেলা পোশাক পরিধান করা এড়িয়ে চলুন।
আশ্রমে কী করবেন এবং কী করবেন না
আশ্রমে বসে কিছুক্ষণ ধ্যান করুন এবং হনুমান চালিশা পাঠ করুন। সেখানে যাওয়ার রাস্তায় ছবি তোলা নিষিদ্ধ। এখানেই থেমে ছবি তুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। প্রাঙ্গণেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

গোলু দেবতা মন্দির
কাইঞ্চিধাম আশ্রম থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ঘোড়াখালে গোলু বা গোলজ্যু দেবতার একটি মন্দির রয়েছে। গোলু দেবতাকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। কথিত আছে যে তিনি ভগবান শিবের অবতার। যদি লোকেরা মন্দিরের স্বীকৃতির জন্য গোলু দেবতার নামে একটি চিঠি নেয়, তবে তারা মন্দির প্রাঙ্গণে এটি বেঁধে দেয়। কোনও ইচ্ছা পূরণ হলে সেখানে ঘণ্টা বাজানোর রীতি রয়েছে। মন্দিরে হাজার হাজার ঘণ্টা বাঁধা দেখতে পাবেন। স্থানীয় লোকজন বলেন, যাদের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে তারা এই ঘণ্টাগুলো বেঁধে রেখে গেছেন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।