বুধবার ঢাকায় ঘটে গেল ক্রিকেটের এক "অগ্রহণযোগ্য" এবং "চরম" অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। এমনিতে ক্রিকেটকে জেন্টেলম্যানস গেম বলা হয়। কিন্তু দঃ আফ্রিকার এক ক্রিকেটার যে কাজটা করলেন, তার পরে তাঁকে অন্তত জেন্টেলম্যান তকমাটা হয়ত দেওয়া যাচ্ছে না। সাউফ আফ্রিকার বোলার শেপো এনতুলি সরাসরি মারামারি শুরু করে দিলেন বাংলাদেশের ব্যাটার রিপল মণ্ডলের সঙ্গে। বাংলাদেশ উদীয়মান দল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা উদীয়মান দলের মধ্যে চার দিনের টেস্ট ম্যাচের সময় ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। যদিও এই ঘটনায় রিপনের তেমন কোনও দোষ নেই, সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।
এমার্জিং টেস্টে মারামারি
এনতুলির ওভারে রিপল একটি ছক্কা মারার পরেই এই ঘটনা ঘটে। এমনিতে ছক্কা মারার পর অনেক সময়ই ব্যাটাররা আলাদা সেলিব্রেট করে থাকেন। যেমন দঃ আফ্রিকারই আন্দ্রে নেলের বিরুদ্ধে ছয় মারার পর ভারতের এস শ্রীশান্ত ব্যাট ঘুরিয়ে সেলিব্রেট করেছিলেন। যদিও সেটা কিন্তু নেল মজার ছলেই নিয়েছিলেন। শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে যখন লক্ষ্মীপতি বালাজি ছয় মেরেছিলেন ওডিআইতে, তখনও শোয়েব হেসেছিলেন। বড় ক্রিকেটাররা এমনই হয়। কিন্তু রিপন ছয় মারার পর নন স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা ব্যাটির পার্টনার মেহেদি হাসানের কাছে যাওয়ার সময় বোলারের সঙ্গে চোখাচুখি হতেই এলতুলি এসে তাঁকে ধাক্কা দেন।
পরপর ধাক্কা রিপনকে, একঝলকে ভিডিয়ো
এরপর রিপন ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করলে ফের এনতুলি তাঁর হেলমেটে মারেন। দুবার এই ঘটনার পর আম্পায়াররা ছুটে এসে বিষয়টি থামান, কিন্তু কোনও ক্রিকেটারই এই ঘটনায় এগিয়ে আসছিলেন না। বরং দঃ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা এই ঘটনায় এনতুলিকেই সমর্থন করছিলেন এবং রিপনকে টার্গেট করতে চেষ্টা করেন।
অবশ্য এখানেই লড়াই শেষ হয়নি। কারণ এনটুলির গায়ের জোর দেখানো বা ঝামেলা পাকানোর ইচ্ছায় তখনও ইতি পড়েনি। তিনটে বলের পরে রিপন মণ্ডল বোলারের দিকে শট খেলার পর ফের সেই বল ব্যাটারকে লক্ষ্য করে ছোঁড়েন এনটুলি। যদিও কোনওমতে সেই বলের আঘাত থেকে বাঁচেন রিপন। এখনও পর্যন্ত ফিল্ড আম্পায়ারদের রিপোর্ট জমা পড়েনি। সেটা হাতে পাওয়ার পরই এনটুলির শাস্তি ঘোষণা হবে। এটাই অবশ্য প্রথম ঘটনা নয়, এর আগে রাজশাহীতে একদিনের লিগের সময়ও এমনই বিতর্কিত ঘটনা ঘটিয়ে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন আন্ডিল সিমলেন এবং জিশান আলম। তাঁদেরকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এবারও নির্বাসনের তোয়াক্কা না করেই এমন ঘটনা ঘটালেন এনটুলি।