মাত্র ২৭ বছর বয়সে ১০০ কোটির ক্লাবে পা। শুধু কন্টেন্ট ক্রিয়েশন করেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী এক তরুণ। ইতিহাসে এই প্রথম ৩০ বছরের কম বয়সি কোনও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ১০০ কোটি সম্পত্তির অধিকারী হলেন। আর সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের নাম জেমস স্টিফেন ডোনাল্ডসন, যাকে গোটা বিশ্ব মিস্টার বিস্ট নামেও চেনে। ২০২২ সালে ফোর্বসের হিসেবমাফিক মিস্টার বিস্টের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫০০ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে সেই সম্পত্তির পরিমাণ ছুঁয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারের কোঠা।
আরও পড়ুন - ত্যাজ্য পুত্রই পরবর্তী রাজা? থাইল্যান্ডে রাজ-উত্তরাধিকার ঘিরে নয়া মোড়
শাহরুখ খান থেকে টম ক্রুজ যার কাছে নস্যি
শাহরুখ খান থেকে টম ক্রুজ পর্যন্ত জেমসের কাছে নস্যি। বর্তমানে এই দুই তারকার মোট সম্পত্তির পরিমাণ যতটা, তার থেকেও বেশি সম্পত্তি রয়েছে জেমসের। বর্তমানে শাহরুখের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে জনি ডেপের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন ডলার। টম ক্রুজের মোট সম্পত্তি বর্তমানে ৯০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ তা এখনও বিলিয়নারের কোঠা ছুঁতে পারেনি। বাস্তবিক, অনেককে ছাপিয়ে গিয়েছেন মিস্টার বিস্ট বা জেমস।
আরও পড়ুন - দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১০০০! কোন কোন রাজ্যে বেশি সংক্রমণের হার?
শুধুই কন্টেন্ট ক্রিয়েশন?
শুধু ইউটিউবে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন করে এত টাকার মালিক হলেন জেমস? আসলে তা নয়। জেমসের কেরিয়ারের দিকে তাকালে স্পষ্ট হবে ব্যাপারটা। জেমসের ইউটিউবের পাশাপাশি অন্যান্য নানা খাতেও নিজের অর্থ বিনিয়োগ করতেন। যেমন তাঁর একটি ফুড চেইন ছিল। ইউটিউব থেকে তাঁর আয় করা টাকা একটি চকোলেট ব্র্যান্ডেও বিনিয়োগ করেছিলেন। এছাড়াও নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ছিল তাঁর। সবকটি বিনিয়োগ থেকে আয় করা টাকাই বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তিকে পৌঁছে দিয়েছে ১০০ কোটির ক্লাবে।
কীভাবে পথচলা শুরু হয়েছিল?
২০১২ সাল। আজ থেকে ১৩ বছর আগে স্কুল পড়ুয়া ছিলেন জেমস। পাশাপাশি ইউটিউবে গেমিং ও স্ট্রিমিংয়ের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন। প্রায় ৫ বছর পর আসে সাফল্য। ২০১৭ সালে তাঁর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় ইউটিউবে। তার পরেই রকেটের গতিতে উত্থান। পড়াশোনা ছেড়ে ইউটিউবের পিছনেই নিজের পুরো সময় ব্যয় করতে শুরু করেন। ২০২২ সালের পরে মাত্র তিন বছরে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার। কন্টেন্ট ক্রিয়েশন করে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন জেমস।