কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ইউরোপে অন্তত ১৪ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলেছিল কোভিড ১৯। ভ্যাকসিন আনতে হিমশিম খেয়েছেন বিজ্ঞানিরা। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরে তার কার্যকারিতা নিয়েও বহু প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে বহু দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এমনই জানা যায় বেশ কিছু পরিসংখ্যান থেকে।
আরও পড়ুন: অল্প বয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের পরিমাণ বাড়ছে, তার একটা বড় কারণ টের পেলেন চিকিৎসকরা
সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে মধ্য এশিয়াসহ ৫৩টি দেশে ২৭ কোটি ৭৭ লাখের বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের মধ্যে ২২ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ফ্লেভারড সিগারেট! এই দেশে আর পাওয়া যাবে না কোনও সুগন্ধী তামাকজাত পণ্য
ডব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগ সাংবাদিকদের জানান, ‘বর্তমানে ইউরোপে ১৪ লাখ মানুষ রয়েছে, যারা বেশিরভাগই প্রবীণ। এবং কোভিডের পরেও তাঁরা সুস্থ ভাবে বেঁচে রয়েছেন। শুধুমাত্র প্রথম বুস্টার ডোজই আনুমানিক ৭ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা পানীয় কী জানেন? পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত ভারতের এই তরল
ক্লুগ আরও জানান, শীতের সময় মানুষের নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে, বিশেষ করে যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আলাদা আঙুলের ছাপের মধ্যেও থাকতে পারে মিল! বহু ধারণা বদলে যেতে পারে এবার
যেহেতু আমরা কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের সঙ্গে বাঁচতে শিখছি, তাই কোমর্বিডিটি পেশেন্টদের জন্য কোভিড-১৯ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নিতে হবে এবং সব সময় নিজেদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। ইউরোপকে অবশ্যই তার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।'
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমাবে ইঞ্জেকশন! কীভাবে কাজ করবে এটি? দামই বা কত
তিনি জানান, ‘আমরা হয়তো অস্বাভাবিক কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত নই, যেমন কোভিড-১৯ এর নতুন, আরও মারাত্মক ধরন বা অজানা কোনো প্যাথোজেনের উত্থান। তাই স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং মৌলিক ওষুধের ঘাটতি মেটাতে আরও তহবিলের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভোরবেলা হয় টুসুর বিসর্জন! গ্রাম বাংলার এই পুজোর ইতিহাস জেনে নিন
ক্লুগ জানান, 'আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে রাজনৈতিক এজেন্ডা থেকে স্বাস্থ্য সরে যাচ্ছে এবং আমরা আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঠিক দেখভালে ব্যর্থ হচ্ছি।