হার্ট ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হয়েছে চিতা ‘উদয়’এর। প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণের পর এমনটাই জানালেন মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় পার্কের একটি প্রবীণ ফরেস্ট অফিসার। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল উদয়কে। মধ্যেপ্রদেশের কুনো জাতীয় পার্কের অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই চিতা। এই দিন পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকারে প্রধান বন সংরক্ষক জে এস চৌহান জানান, পশু চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করেছেন উদয়কে। একটি অটোপ্সি করে জানা গিয়েছে, হৃদরোগের কারণেই মৃত্যু হয়েছে চিতাটির। তবে এখনও পুরো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসেনি। রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
আরও পড়ুন: বয়স চল্লিশ পেরোলে ৫ খাবারই বাড়াতে পারে আয়ু, রোজকার ডায়েটে রয়েছে কি
আরও পড়ুন: দুধ খেতে দিলেই নাক কুঁচকায় খুদে? ৫ জিনিস মেশালেই ঢকঢক করে ফিনিশ করবে গ্লাস
গত এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় চিতার মৃত্যু হল কুনো জাতীয় পার্কে। এর আগে শাশা নামের আরেকটি মেয়ে চিতার মৃত্যু হয়। কিডনির রোগের কারণেই সেটির মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। ২৭ মার্চ সাড়ে চার বছরের শাশা মারা যাওয়ার পর এবার উদয় মারা গেল। মাত্র ছয় বছরের উদয় চলে যাওয়ার পর কুনো জাতীয় পার্কে আপাতত ১৮টি চিতা রয়েছে। রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, নিজের এলাকায় ছাড়ার আগে উদয়কে একটু অলস থাকতে দেখেছিল পার্কের আধিকারিকরা। শনিবার রাতেও বেশ সুস্থসবল দেখা গিয়েছিল উদয়কে।
রবিবার সকালে পরিস্থিতি বেশ গুরুতর হয়ে ওঠে। রবিবার সকালে পশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাকে পরীক্ষা করে। তখনই দেখা যায়, শারীরিক অবস্থা মোটেই ভালো নয় তাঁর। সকাল এগারোটা নাগাদ চিকিৎসা আরম্ভ হয় উদয়ের। সেই সময় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই ট্রাঙ্কুইলাইজার দেওয়া হয় উদয়কে। বন্যপ্রাণীদের চিকিৎসকদের সহায়তায় বিশেষ চিকিৎসা শুরু হয় উদয়ের। এমনকি আইসোলেশনেও রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বিকেল চারটা নাগাদ মৃত্যু হয় উদয়ের। প্রসঙ্গত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উদয়সহ আরও ১২টি চিতাকে আনা হয় কুনো জাতীয় পার্কে। ‘প্রজেক্ট চিতা’ প্রকল্পের অংশ হিসেবেই উদয় এসেছিল। ময়নাতদন্ত এলেই স্পষ্ট হবে তাঁর মৃত্যুর কারণ। আপাতত তারই অপেক্ষা।