বিয়ের দিনক্ষণ সব ঠিক। আর কয়েকদিনের মাথায় বিয়ের পিঁড়িতেও বসতে যাচ্ছেন দুজনেই। তার ঠিক আগে আগেই গুরুতর দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পায় কনে। তবে এই দুর্ঘটনাই সামনে এনে দিল দুজনের প্রেমের শক্তিকে। দেখিয়ে দিল কতটা মজবুত তাদের সম্পর্ক। বিয়ের আগে আগেই দুর্ঘটনার ফলে পা ভেঙে রীতিমতো শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন শতাক্ষী। তার পায়ে প্লাস্টার করতে হয়। কাটাতে হয়েছে হাসপাতালে। তবে এই গোটা সময়টা তার পাশে ছিলেন তাঁর প্রতীক। আর কয়েকদিন বাদেই বিয়ে প্রতীকের সঙ্গে শতাক্ষীর। কিন্তু দুর্ঘটনার জন্য সবটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল ওই দুর্ঘটনার ফলে। তবে এতে দমে যায়নি কেউই।
আরও পড়ুন: ৫ ব্যায়ামই ফ্যাটের যম, কখন কীভাবে করবেন জানেন কি
আরও পড়ুন: একমাসের মধ্যেই আরেক চিতার মৃত্যু মধ্যপ্রদেশের জাতীয় পার্কে! অপেক্ষা ময়নাতদন্তের
শতাক্ষী পেশায় একজন অবস্টেট্রিক ফিজিয়োথেরাপিস্ট। অর্থাৎ, গর্ভধারণের পর মহিলাদের ফিজিয়োথেরাপি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব চিকিৎসাই করে থাকেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর প্রোফাইল বেশ জনপ্রিয়। ২০ এপ্রিল নিজের প্রোফাইল থেকে একটি ছোট্ট ভিডিয়ো শেয়ার করেন শতাক্ষী। সেখানেই দেখা যায় হঠাৎ দুর্ঘটনায় তাঁর শয্যাশায়ী হয়ে পড়া এবং পরে ধীরে ধীরে সেরে ওঠা। দেখা যায়, হাসপাতাল থেকে বাড়ি সবসময় পাশে প্রতীক। শতাক্ষী জানান, দুর্ঘটনার পর তাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। সেখানেই থাকতেন প্রতীক। এমনকি দরকারে তাকে রক্তও দিয়েছেন। পাশাপাশি রোজ হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসতেন হবু বর।
ভিডিয়োতে দেখা যায়, দুই মাস পরে প্লাস্টার খোলা হয় শতাক্ষীর। এরপর শুরু হয় বিয়ের তোড়জোড়। কিন্তু এইসময়েও বেশ সতর্ক প্রেমিক প্রতীক। শতাক্ষীর যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই সে দিকেও খেয়াল রাখছেন তিনি। এমনকি বিয়ের আসরে কনেকে কোলে তুলেই সাত পাক ঘোরেন প্রতীক। নেটিজেনরা এই ভিডিয়ো দেখে রীতিমতো প্রশংসায় মেতে ওঠেন। ভিডিয়োটি পোস্ট করার পরপরই ভাইরাল হয়ে যায়। দুজনকে ‘পারফেক্ট পার্টনার’ লিখেও কমেন্ট করেন অনেকে। প্রতীকের পরিচিত এক নেটিজেন লেখেন, ‘দাদা স্কুলের সময় থেকেই এমন ভালো। বৌদি ও দাদার জুড়ি একদম পারফেক্ট। দুজনের আগামী জীবন সুখের হোক, এটাই কামনা করি।’