সলমনের কেরিয়ারে প্রথম সফল ছবি ছিল ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। বলিউডের নামজাদা চিত্রনাট্যকার, লেখক সেলিম খানের পুত্র সলমন খান ১৯৮৮ সালে রুপোলি সফর শুরু করেন, ‘বিবি হো তো এয়সি’ ছবির সঙ্গে। এর ঠিক পরের বছর মুক্তি পায় পরিচালক সুরজ বরজাতিয়ার ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’। যে ছবি আপামর ভারতবাসীকে শিখিয়েছে, ‘দোস্তি মে নো সরি, নো থ্যাঙ্ক ইউ’। কিন্তু এই ছবি ব্লকবাস্টার হিট হওয়ার পরেও নাকি কাজ পাচ্ছিলেন না সলমন খান। বছরখানেক আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছেন সলমন খান। কারণ, ছবি করার পরই তাঁর সহ অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী বিয়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় হাতেখড়ি হয়েছিল সুরজ বারজাতিয়ারও। ছবিটি মূলত প্রেম (সলমন) এবং সুমন (ভাগশ্রী) –এর প্রেম কাহিনিকে ঘিরে। যাঁরা একে অপরকে ভালবেসেছিল কিন্তু পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল। সমালোচক এবং দর্শকদের কাছে ছবিটি প্রচুর সমাদর এবং প্রশংসিত হয়। বলিউডের অন্যতম কালজয়ী ছবি হিসাবে বিবেচিত হয় এটি।‘আপ কি আদালত’ শো-তে এসে সলমন জানান, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র পর কোনও ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। চার-পাঁচ মাস কোনও কাজ পাইনি আমি। মনে হচ্ছিল কোনও কাজও পাব না। কারণ, ভাগ্যশ্রী ম্যাডাম সেই সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিনেমা ছেড়ে দেবেন এবং বিয়ে করে নেবেন’। সলমন আরও বলেন, ‘এরপরই উনি বিয়ে করে নেন। ছবির যা প্রশংসা, সবটাই উনি নিয়ে চলে যান। ইন্ডাস্ট্রির সবার মনে হয়েছিল ওই আসল ছিল, আমি শুধুমাত্র সঙ্গে ছিলাম’।জানা যায়, সেই সময় সলমনের বাবা সেলিম খান সেই সময় হস্তক্ষেপ করেছিলেন। সেলিম সেই সময় পরিচালক তথা প্রযোজক জিপি সিপির সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন, তিনি তাঁকে অনুরোধ করেন-ঘোষণা করার জন্য সলমনের সঙ্গে একটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি। এরপরই সেই ঘোষণা নামী একটি ম্যাগাজিনে ছাপা হয়। তারপর বেশ কয়েকটি পরিচালক এবং প্রযোজক সলমনের সঙ্গে কাজ করতে এগিয়ে আসে। এসব তিন দশক আগের কথা। ৩০ বছরে বলিউডের হিসাব-নিকাশ অনেকখানি পালটে গিয়েছে।আগামীতে সলমনকে দেখা যাবে প্রভুদেবার ‘রাধে: দ্য মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’ ছবিতে। ইদে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। এছাড়াও অন্তমিঃ দ্য ফাইনাল ট্রুথের শ্যুটিং সারছেন ভাইজান। শীঘ্রই টাইগার ফ্রাঞ্চাইসির তিন নম্বর ছবির কাজ শুরু করবেন সলমন। এছাড়াও শাহরুখ খানের পাঠান ছবিতেও একটি ক্যামিও চরিত্রের জন্য শ্যুটিং সারবেন দাবাং খান।