১৬ বছরের মেয়েকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ তামিল অভিনেতা, সুরকার বিজয় অ্যান্টনি। চেন্নাইয়ের বাড়িতেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মীরাকে। প্রাথমিকভাবে বিজয় অ্যান্টনির মেয়ে মীরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মীরা। তাঁর মানসিক চিকিৎসাও চলছিল। তবে শেষপর্যন্ত চরম পথই বেছে নেন বছর ১৬-র মীরা।
বুধবার মীরা অ্যান্টনির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ক্রিশ্চান রীতি মেনেই হয় শেষকৃত্য। মৃতদেহকে নুঙ্গামবাক্কামের একটি গির্জায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শেষ রীতিনীতির জন্য। মেয়েকে বিদায় জানানোর আগে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিজয়ের স্ত্রী ফতিমা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো তোমায় গর্ভে ধরেছি, তুমি আমার সঙ্গেও তো কথা বলতে পারতে…’। ফতিমার এই কথা সোশ্যাল মাধ্যমে উঠে আসে। মেয়েকে বিদায় জানানোর সময় গীর্জায় দাঁড়িয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন ফতিমা।
আরও পড়ুন-২৪ সেপ্টেম্বর বিয়ে! তার আগে শিখ রীতি মেনে 'আদ্রস' অনুষ্ঠানে রাঘব-পরিণীতি
আরও পড়ুন-‘টাবুতে মুগ্ধ, প্রেমে পড়ে গিয়েছি’, অকপট বাঁধন, হয়েছে উপহার দেওয়া-নেওয়া

কান্নায় ভেঙে পড়ে ফতিমা অ্যান্টনি
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে মেয়ে মীরাকে নিয়ে ফতিমার একটি পোস্ট । যেখানে তিনি তাঁর মেয়ের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছিলেন। স্কুলের কালচারাল সেক্রেটারি হয়েছিলেন মীরা।

মেয়েকে উৎসাহ দিয়ে ফতিমার পুরনো পোস্ট
প্রসঙ্গত অভিনেতা বিজয় অ্যান্টনির স্ত্রীর নাম ফাতিমা। তাঁরা ২০০৬ সালে বিয়ে করেন।তাঁদের দুই মেয়ে। মীরা ছাড়াও তাঁদের আরেক মেয়ের নাম লারা অ্যান্টনি। বিজয় অ্যন্টনি পেশায় অভিনেতা, সুরকার। বিজয়ের স্ত্রী ফতিমাও পেশায় প্রযোজক। জানা যায় বিজয়ের বাবাও নাকি আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর পর বিজয়ের কিছু কথা ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, মেয়েকে তিনি কোনও কিছু নিয়েই জোর করতে চান না। তিনি বলেছিলেন, ‘বাচ্চারা স্কুলে পড়াশোনা নিয়েই থাকে। বাড়ি ফেরার পর তাই সেবিষয়ে কথা বলতে চাই না। মেয়েকে পড়া নিয়ে জোর করতে চাই না। ওর যখন ইচ্ছে হবে ও পড়বে। ’
এদিকে বিজয় বর্তমানে তাঁর অভিনয় নিয়ে ভীষণই ব্যস্ত ছিলেন। বিজয় তাঁর আগামী ছবি রাতথাম নিয়ে কাজ করছেন। শীঘ্রই মুক্তি পাবে এই ছবিটি। কিছুদিন আগে চেন্নাইয়ে তিনি একটি কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন, সেটিও ছিল সুপার হিট। তবে তার মাঝেই এই ঘটনায় স্তম্ভিত বিজয়ের পরিবার। ঘটনা বিধ্বস্ত বিজয় অ্যন্টনির পরিবার।