গত ২৮ জুন দু'বছরের বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করলেন অনামিকা চক্রবর্তী এবং উদয় প্রতাপ সিংহ। এই দুজনেই টেলি দুনিয়ার ভীষণ পরিচিত দুটি মুখ। উদয় এই মুহূর্তে অভিনয় করছেন পরিণীতা ধারাবাহিকে, যদিও অনামিকা এখন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতেই থাকেন।
কাজের জন্য ব্যস্ত থাকার কারণে স্ত্রীকে সেই পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না উদয়, তাই হাতে দুই দিন ছুটি পেয়েই স্ত্রীকে নিয়ে সোজা বেরিয়ে পড়লেন বাড়ি থেকে। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষেই এই প্ল্যান। কিন্তু এত অল্প সময়ের ছুটিতে কোথায় বেড়াতে গেলেন তাঁরা?
আরও পড়ুন: কেউ বলছেন হৃতিক,কেউ রজনীকান্ত, প্রশংসা পেয়েও কেন উল্টো সুর গাইলেন ঋত্বিক?
আরও পড়ুন: বাবার অপমানের বদলা নিতে মেয়ে খুলবে ব্যাঙ্ক, মুক্তি পেল ‘লক্ষ্মীঝাঁপি’-র প্রমো
অভিনয়ের পাশাপাশি অনামিকা টুকটাক ভ্লগিং করেন টুকটাক। স্বামী এবং ছেলের সঙ্গে কাটানো ছোটখাটো মুহূর্ত মাঝে মধ্যে তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষেও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে।
অনামিকা যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, বেশ বড় একটি টলি ব্যাগ নিয়ে অনামিকা এবং উদয় দুজনেই বেরিয়ে পড়েছেন বাড়ি থেকে। গন্তব্য মন্দারমনি। ক্যাসুয়াল পোশাকে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর উদ্দেশ্যে ছোট্ট এই ভ্যাকেশনের প্ল্যান করেছেন তাঁরা।
রাস্তায় যেতে যেতে চলতে থাকে খুনসুটি। কখনও তামিল ভাষায় উদয়ের কথা বলা কখনও আবার বেশি স্পিডে গাড়ি চালানোর জন্য স্বামীকে অনামিকার বকাবকি করা, আর পাঁচটা দম্পতির মতোই চলতে থাকে তাঁদের কথোপকথন।
মন্দারমনি পৌঁছে সমুদ্রের ধারে দুজনেই কাটান নিজস্ব মুহূর্ত। বিচে দাঁড়িয়ে অনামিকাকে বলতে শোনা যায়, আমরা গরিব বলে মন্দারমনি এসেছি। তোমরা সবাই দেখতে পারছো তো আমরা কতটা গরিব। স্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে উদয় বলেন, মন থেকে দেখো, দেখবে এটাকেই মরিশাস লাগছে, বা ধরো লাক্ষাদ্বীপ। একসঙ্গে থাকাটাই আসল কথা।
আরও পড়ুন: মায়ের প্রতি সন্তানের ক্ষোভ জন্ম দিল অজানা রহস্যের, মুক্তি পেল ‘ডিয়ার মা’ ছবির টিজার
আরও পড়ুন: ‘ওয়েলকাম বেবি…’, সদ্য ছেলের মা হয়েছেন, পরিবারে ফের নতুন সদস্যকে স্বাগত জানালেন মানসী?
প্রসঙ্গত, বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘তিন বছরের প্রেম, দু বছরের দাম্পত্য। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর যাত্রা আমাদের। কতবার কত ঝগড়া করেছি আমরা। কতবার মনে হয়েছে এই হয়তো বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। কিন্তু আবার সবকিছু মিটিয়ে কাছাকাছি এসেছি। আসলে পরস্পরকে ছেড়ে থাকা আমাদের জন্য খুব কঠিন। তোমায় খুব খুব ভালোবাসি।’