গায়ক সঞ্জু রাঠোর মনে হয় একটি গান কী করে হিট করাতে হয় সেই সূত্রটি বের করে ফেলেছেন। বর্তমানে, শেকি শেকি, মানে তার চতুর্থ গানটি একা ইউটিউবে একশো মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে, এবং এটি এই সপ্তাহে ইউটিউবের সেরা একশো মিউজিক ভিডিয়োর সাপ্তাহিক তালিকায় এক নম্বর গান হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে তিনি রোজ এবং ব্রুনো মার্সের এপিটি এবং এড শিরানের স্যাফায়ারকে পরাজিত করেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ এনেক বেড়ে গেছে। অবশ্যই আমার ভালো লাগছে, যে এত খ্যাতি পাচ্ছে মারাঠি সঙ্গীত, এরমটা আগে কখনও হয়নি। ব্যাক টু ব্যাক হিট দেওয়া যে কোনও শিল্পীর জন্যই এনেক বড় ব্যাপার।’
যদিও তিনি কি তাঁর গানগুলি যে সংখ্যাগুলি নিয়ে আসে তার উপর খুব বেশি গুরুত্ব দেন? সঞ্জু রচিত, সুর করা এবং পরিবেশিত শেকির মতো, জি-স্পার্কের সঙ্গীত প্রযোজনায় এখনও পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে 3.4 মিলিয়ন রিল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এরমটা নয় যে আমি আগে ভালো গান বানাতাম না। কিন্তু মানুষ আমার ব্যাপারে জানত না। ডিম্পল, আমার একটি গান প্রথমে ভাইরাল হয়েছিল, তারপরে বাপ্পা, এবং এভাবেই লোকেরা আমার সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। আমার দর্শক বেড়েছে, আমি এভাবেই দেখি। প্রত্যেক শিল্পীই চায় একটি ভালো গান যেন ভাইরাল হয়। শিল্পীর কাজের খ্যাতি যত বাড়ে, ফলোয়ার সংখ্যাও তত বাড়ে। আমার মারাঠি অডিয়েন্স কী চায় সেদিকেও আমি মনোযোগী। আমি কেবল এমন সঙ্গীত তৈরির দিকে মনোনিবেশ করি না যা নম্বর পায় বরং এমন একটি কিছু তৈরি করতে চাই যা আমার শ্রোতাদের পছন্দ হবে। সংখ্যাগুলো সেটাকে অনুসরণ করে।’
গুলাবি শাড়িকে শিগগিরই বলিউডের একটি ছবিতে দেখা যাবে জানিয়ে সঞ্জু বলেন, ‘ওই গানের পর চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সুরকারদের কাছ থেকে অনেক ফোন পেয়েছি। আমার মনে হয় শেকির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। আমি একটা ছোট গ্রাম থেকে আসা শিল্পী যে অনেক স্বপ্ন দেখত তাঁর কাছে এসব অনেক বড় ব্যাপার। হয়তো আমি নিজেই এটা কোথাও না কোথআও কাজের মাধ্যমে অর্জন করেছি।’