ছোট হোক বা বড় পর্দা, হামেশাই সমালোচনার মুখে পড়েন তারকারা। তাঁদের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ সময়তেই দোষ চাপে, অভিনয় নাকি একদমই পারেন না। শুধুমাত্র সৌন্দর্যের কারণে এত খ্যাতি। তৃণাকে নিয়েও কিছুটা এরকমই ফিসফাস। অনেকেই অভিযোগ করেন যে, অভিনেত্রী নাকি তোতলা। কথা বলার সময় জড়িয়ে যায় তাঁর। শুধু দর্শকরা নন, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এমন কথা বলে থাকেন।
সত্যি কি কথা বলতে গেলে জড়িয়ে যায় তৃণার? এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুললেন পরশুরামের নায়িকা। টিভি নাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই সমস্যার কথা৬ অকপটে স্বীকার করে নিলেন ‘তটিনী’।
তৃণা সাহা বললেন, ‘আমি সত্যি তোতলা, আমি তোতলা ছিলাম। এখনও তুতলে যাই। তবে আমি এখন শিখে গিয়েছি কীভাবে ওটাকে অভিনয়ে পরিবর্তন করতে হয়। আমি সত্যিই তোতলা ছিলাম।’
‘যখন আমাকে খোকাবাবু অফার করা হল, আর তরীর যে চরিত্রটা ছিল খুব জলদি জলদি কথা বলে, ঝগড়া-চেচামেচি করছে, খুব লাউড একটা ক্যারেক্টার… ওখানে দাঁড়িয়ে আমি সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি কী করে পারব। প্রচুর এনজি দিয়েছি। আমার বাংলা খুব খারাপ। এখনও খুব ভালো হয়নি। কিন্তু শুধুমাত্র এই ক্রেডিটটা একমাত্র স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে (পরিচালক) দিতেই হবে, মানুষটা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’, আরও বলেন তৃণা।
আপাতত ‘পরশুরাম আজকের নায়ক’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তৃণা সাহাকে। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম তটিনী। ছবিতে তৃণার হিরো-র চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ইন্দ্রজিৎ বোসকে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই টিআরপিতে বেঙ্গল টপার এই মেগা।
২০১৬ সালে খোকাবাবু-তে অভিনয়ের মাধ্যমে টলিউডে ডেবিউ তৃণার। এরপর কলের বউ, খরকুটো, লাভ বিয়ে আজকাল, বালিঝরের মতো ধারাবাহিকে কাজ করেন। বড় পর্দায় পাসওয়ার্ড, শ্রীমতি, ইস্কাবনের বিবি-র মতো সিনেমাতেও দেখা গিয়েছে তৃণা সাহাকে। সেন্টিমেন্টাল সিনেমাতে আইটেম ডান্স দিয়ে নজর কাড়েন তৃণা। কাজ করেছেন তৃণা মার্ডার বাই দ্য সি, গভীর জলের মাছ ওয়েব সিরিজেও।