ছয় ও সাতের দশকে যেসব অভিনেত্রীরা বলিউড দাপিয়ে বেরিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে সায়রা বানু, আশা পারেখ, সাধনাদের নাম থাকবে একেবারে ওপরের দিকেই। তবে 'সায়া', 'ওহ কৌন থি', 'ওয়াক্ত' এর মতো সুপারহিট ছবির অভিনেত্রী হিসেবে চায়ের দশক থেকেই বক্স অফিস থেকে শুরু করে দর্শকদের হৃদয় জাঁকিয়ে বসেছেন সাধনা। বাকি এই দুই নায়িকাও ধীরে ধীরে ভাগ বসছিলেন তাঁর জনপ্রিয়তায়। তবে তা সত্ত্বেও কোনওদিন ছবি নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়নি তাঁদের মধ্যে। অন্তত এমনটাই দাবি করেছিলেন সাধনা।বলিউডের তিন জনপ্রিয় নায়িকা অথচ তাঁদের মধ্যে 'লড়াই' নেই, সম্পর্কের কোনও চোরাস্রোত নেই এ যেন অনেকটাই কল্পবিজ্ঞানের কোনও গল্পের সামিল। তবে জোর গলায় সাধনা দাবি করেছিলেন তাঁর এবং সায়রা ও আশার মধ্যে এতটাই বন্ধুত্ব ছিল যে সেসব 'লড়াই' হওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। তবে শুধুই কি বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা? না, ছিল অন্য একটি কারণও। সেকথাও অকপটে জানিয়েছিলেন অধুনা প্রয়াত এই বলি-অভিনেত্রী। যা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।২০১২ সালে আই ডিভা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে বলিউডে ছবি করার ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকটি নিয়ম জারি ছিল। সহজ করে বললে 'সাম্ৰাজ্য' ভাগ করা ছিল সুনিপুণভাবে। সাধনার কথায়, 'যদি কোনও ছবির পরিচালক, প্রযোজক তাঁদের ছবির জন্য সুন্দরী নায়িকার প্রয়োজন থাকত তাহলে তাঁরা সেরা বানুকে নিতেন। যদি তাঁদের চাহিদা থাকত একজন দক্ষ নাচিয়ে অভিনেত্রীর তাহলে সেক্ষেত্রে অনিবার্যভাবে সুযোগ হতো আশা পারেখের। আর যদি কোনও নাটুকে মশলায় ভরপুর চিত্রনাট্যের জন্য কোনও অভিনেত্রীর প্রয়োজন হতো সেক্ষেত্রে নির্বাচিত হতাম আমি। এভাবেই বলিউডে টিকে ছিলাম আমরা। এন্তার কাজ করে গেছিলাম। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও কোনও ঝামেলার সৃষ্টি হয়নি'।