
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
‘ক্ষমতা’র অপব্যবহার করে রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ায় চেষ্টা করছে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার! সেই কারণেই পাটনায় রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং, সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমনই আর্জি রিয়া চক্রবর্তীর।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। নেটিজেনরা শুরু থেকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। গত মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনে পাটনার রাজীব নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের ৭৪ বছর বয়সী বাবা কেকে সিং। বুধবারই এই এফআইআরের প্রেক্ষিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করেন রিয়া। যেখানে অবিলম্বে এই মামলা মুম্বই পুলিশের হাতে হস্তান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছেন রিয়া। অভিনেত্রীর হতে এই মামলা লড়ছেন দেশের অন্যতম সেরা ক্রিমিন্যাল লইয়ার সতীশ মানেসিন্ধে।
পিটিশনে ঠিক কী জানিয়েছেন রিয়া, তা সামনে এল বৃহস্পতিবার রাতে। জানা গিয়েছে এই পিটিশনে রিয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে আবেদনকারীকে (রিয়াকে)। আবেদনকারী একজন অভিনেত্রী,এবং এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ২০১২ সাল থেকে। এই অদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই মামলায় মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। মৃতের বাবা কৃষ্ণ কিশোর সিং এই মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন’।
পিটিশনে রিয়া মেনে নিয়েছেন সুশান্তের সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপে ছিলেন তিনি। এবং সুশান্তের মৃত্যুর পর ব্যক্তিগত পর্যায়ে তিনি ভীষণরকমভাবে ভেঙে পড়েছেন। এবং এই মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলা কাটাছেঁড়া তাঁর যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তিনি এও জানিয়েছেন সান্তাক্রুজ পুলিশ থানায় তিনি অভিযোগও দায়ের করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ,খুনের হুমকি পেয়ে।
পিটিশনের পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, গত এক বছর ধরে, ৮ই জুন ২০২০ পর্যন্ত আবেদনকারী মৃত ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। ৮ তারিখ আবেদনকারী অস্থায়ীভাবে মুম্বইতে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। পিটিশনে এত বলা হয়েছে যে মৃত ব্যক্তি বেশ কিছু সময় ধরেই অবসাদে ভুগছিল এবং তাঁর চিকিত্সা চলছিল। ১৪ জুন,২০২০ সকালে সে আত্মহত্যা করেছে বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করছে বান্দ্রা পুলিশ, যে কী কারণে এই পদক্ষেপ নিল সে।
রিয়া এটাও জানিয়েছেন, মুম্বই পুলিশ তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল একাধিকবার এবং তিনি নিজের বয়ানও রেকর্ড করেছেন। তিনি বলেন, মুম্বই পুলিশ এখনও তদন্ত চালাচ্ছে, এখনও বেশ কিছু ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা চলছে। রিয়া যোগ করেন সিআরপিসির ১৭৭ নম্বর ধারা বলে সবরকমের অপরাধ নির্দিষ্ট জুরিসডিকশনের ( আইনগত অধিকারক্ষেত্র) মধ্যেই তদন্ত করা হয়।
যদি সুশান্তের বাবার দায়ের করা মামলায় ছিটেফোঁটাও সত্যতা থাকে,তাহলেও সেই মামলার তদন্তভার বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনের হাতে থাকা উচিত। বিহার পুলিশের পক্ষে নিরপেক্ষ তদন্ত করা সম্ভব নয় বলেই পিটিশনে দাবি রিয়ার। তাই এই মামলা অবিলম্বে মুম্বই পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সুশান্তের বাবা কেকে সিং রিয়া ও অভিনেত্রীর পুরো পরিবার এবং ম্যানেজাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, সুশান্তের সঙ্গে প্রতারণা (আর্থিক ও মানসিক) এবং তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো অভিযোগ এনেছেন কেকে সিং। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪১,৩৪২,৩৮০,৪০৬, ৪২০-ধারায় গত ২৫ জুলাই এফআইআর দায়ের করেছেন।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports