অভিনেতা গোবিন্দা এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজার সম্পর্ক কয়েকমাস ধরেই খবরে। আর যার অন্যতম কারণ হল এত বছরের দাম্পত্য পেরিয়ে এসে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন। যদিও গণেশপুজোর দিন তাতে জল ঢালেন গোবিন্দা ও সুনীতা নিজেরাই। এমনকী সুনীতা জানিয়ে দেন যে, স্বয়ং ভগবান এসেও তাঁদের আলাদা করতে পারবেন না।
সম্প্রতি, সুনীতা রিয়ালিটি শো ‘পতি পত্নী অর পাঙ্গা- জোড়িয়ো কা রিয়ালিটি চেক’-এ অতিথি বিচারক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি তাঁর স্বামী গোবিন্দার সম্পর্কে কথা বলেছেন। মস্করা করে বলেন, প্রতিটা নায়িকার সঙ্গেই ফ্লার্ট করতেন তাঁর বর। জানান, কীভাবে সোনালির সঙ্গে সময় কাটানো উপভোগ করতেন তিনি, যাঁর সঙ্গে গোবিন্দা কাজ করেছিলেন ‘জিস দেশ মে গঙ্গা রেহতা হ্যায়’ এবং ‘অপনে দাম পর’ সিনেমাতে।
সোনালিকে দেখা যাচ্ছে পতি পত্নী অর পাঙ্গা রিয়েলিটি শো-তে সঞ্চালকের ভূমিকাতেও। সেই প্রসঙ্গে সুনীতা জানান, ‘আমরা হেসেছি এবং অতীতের সেই সব মজার মুহূর্তগুলি স্মরণ করেছি, যা এখনও আমাদের হৃদয়ের কাছে খুব কাছের। আমি জানিয়েছি যে গোবিন্দা অনেকের সঙ্গেই প্রেম করতে পারেন, কিন্তু শুধুমাত্র সোনালিই বেঁচে গেছেন! তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী যার সঙ্গে গোবিন্দা কখনো ফ্লার্ট করার চেষ্টা করেননি।’
সুনীতা আরও জানিয়েছেন যে গোবিন্দা ‘আগ’ (১৯৯৪) সিনেমাতে সোনালিকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, গোবিন্দাই 'আগ' সিনেমাতে সোনালিকে তাঁর প্রথম বড়ো সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তিনি প্রায়ই বলতেন যে যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন নাকি আমাকে দেখে তাঁর সোনালির কথা মনে হত। …সেই মুহূর্তগুলি পুনরায় অনুভব করা, কিছু না বলা সত্যি কথা বলা, বিশেষ করে গোবিন্দা স্টাইল বিনোদন উদযাপন করা সত্যিই দারুণ ছিল।’
গোবিন্দা এবং সুনীতা আহুজা ১৯৮৭ সালে বিয়ে করেছিলেন। এমনকি গোবিন্দা বলিউডে তাঁর তারকা খ্যাতি অর্জন করার আগেই। তবে এই দম্পতি তাঁদের বিয়ের খবর গোপনই রেখেছিলেন এবং বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই তাঁদের মেয়ে, টিনা আহুজার জন্মের পর বিষয়টা জনসমক্ষে এসেছিল। তাদের একটি ছেলেও আছে, যশবর্ধন, যার জন্ম ১৯৯৭ সালে। টিনা ইতিমধ্যেই তাঁর বলিউড ডেবিউ করে ফেলেছেন। আর যশবর্ধন বর্তমানে সাই রাজেশের শিরোনামহীন সিনেমা দিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।