বড়দিনে সকলেই কম বেশি উপহার পেয়েছেন। একদিকে যেমন বাবা মায়েরা সান্তা সেজে শিশুদের উপহার দিয়েছেন, অন্যদিকে প্রিয় মানুষরা শখের মানুষকে দিয়েছেন উপহার। কিন্তু এইসব কিছুর মধ্যেই সব থেকে বড় উপহার পেলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। পুরনো প্রেমের তথা বন্ধু সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে পেলেন আস্ত একটি আঙুর বাগান।
এই মুহূর্তে সুকেশ রয়েছেন তিহার জেলে বন্দী। বন্দী অবস্থাতেই শখের নারীকে বড়দিনে উপহার পাঠিয়েছেন তিনি। তিনি জ্যাকলিনকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন দক্ষিণ ফ্রান্সের ১০৭ বছরের পুরনো একটি আস্ত আঙুর বাগান। শুধু তাই নয়, জেল থেকেই জ্যাকলিনকে পাঠিয়েছেন একটি চিঠি, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে হয়েছে ভাইরাল।
আরও পড়ুন: বিকিনিতে টলি সুন্দরী, শরীরী ভাষায় তুললেন পুরুষ হৃদয়ে ঝড়, বাংলা সিরিয়াল ছেড়ে এখন বলিউডে, বলুন তো কে
সুকেশের হাতে লেখা বড়দিন উপলক্ষে লেখা। জ্যাকলিনকে ‘বেবি গার্ল’ সম্বোধন করে সুকেশ তাঁকে মেরি ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানান। সুকেশ লেখেন, আমি দূরে আছি ঠিকই কিন্তু তা বলে তোমাকে বড়দিনের উপহার দেব না তা হয় না। এই বছর তোমার জন্য একটি বিশেষ উপহার রয়েছে। আজ তোমাকে কোনও ওয়াইনের বোতল নয়, আস্ত একটি বাগান উপহার দিচ্ছি। এমন উপহার যা তুমি স্বপ্নেও ভাবতে পারনি।

সুকেশ আরও লেখেন, এই বাগানে তোমার সঙ্গে হাত ধরে হাঁটতে চাই আমি। হয়ত সবাই ভাববে আমি পাগল কিন্তু আমি শুধুমাত্র তোমার প্রেমেই পাগল। যতক্ষণ না আমি জেল থেকে বেরিয়ে আসছি, ততদিন অন্তত আমার জন্য অপেক্ষা কর। আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর সারা বিশ্ব আমাদের ভালোবাসা দেখবে।
আরও পড়ুন: ‘দেব যেভাবে বাসে করে ঘুরে, জিৎ কখনও…’, খাদানের জন্যই শো পাচ্ছে না স্বপ্নময় লেন? জবাব মানসীর
ইন্টারনেটে এই চিঠির ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সুকেশকে কেউ ‘পাগল প্রেমী’ বলে অভিহিত করেছেন কেউ আবার বলেছেন ব্যাপারটা বড্ড বেশি ভয়ংকর। তবে যাই হোক না কেন, এই চিঠির বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ জ্যাকলিন।
প্রসঙ্গত, সুখেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেফতার করা হয় ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ মামলায়। সুকেশের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় জ্যাকলিনকেও খুব স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। এই বিষয় নিয়ে বিস্তর জল্পনা কল্পনা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুকেশের দিক থেকে প্রেমের সম্পর্কের কথা বারবার বলা হলেও জ্যাকলিন কিন্তু এই বিষয়টি প্রথম থেকেই নস্যাৎ করে দেন। তবে জ্যাকলিন যতই মানা করুন না কেন, সুকেশ যে অভিনেত্রীর পাগল প্রেমিক, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল বড়দিনে পাঠানো এই উপহার দেখে।