Prithibi Band: ২৬ বছরেই থামল সুব্রতর গিটার! ‘পৃথিবী’ ছেড়ে চলে গেল ‘ভুলা’, শোকে কাতর কৌশিক

‘আমি জানি তুমি আছো, ভীষণ ভালো আমায় ছেড়ে’- এই গান লিখেছিলেন পৃথিবী ব্যান্ডের প্রিয় ‘ভুলা’ সুব্রত সরকার। অথচ এভাবে পৃথিবী ছেড়ে এত তাড়াতাড়ি না-ফেরার দেশে চলে যাবে তা কে জানত? মাত্র ২৬ বছর বয়সেই প্রয়াত বাংলা ব্যান্ড পৃথিবীর খুব কাছের মানুষ, সুব্রত সরকার। ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন না সুব্রত, তবে ‘পৃথিবী’ দলের সঙ্গে গিটার বাজাতেন তিনি। কৌশিক চক্রবর্তী ও ব্যান্ডের বাকি সদস্যদের কাছে ‘ভুলা’ (সুব্রত ডাকনাম) ছিল তাঁদেরই একজন। তাই এই অকাল মৃত্যুটা বড্ড বেশি কষ্টের কৌশিকদের জন্য।ব্যান্ডের ফেসবুক পেজ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা হয়,'এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না এই নিষ্পাপ আর প্রাণোচ্ছ্বল মুখটা আর ফিরে আসবে না উডস্টকে, বলবে না- ‘কী সব ভালো তো?’ সুব্রত ‘ভুলা’ আমাদের ব্যান্ডের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। রিহার্সাল হোক, শো কিংবা ট্রিপ অথবা সেলিব্রেশন। কখনও আমাদের কোনও গিটারিস্টকে প্রসেসর ধার দেওয়া, কিংবা কোনও অনুষ্ঠানে ফুল টাইম আমাদের সঙ্গে গিটার বাজানো, ও সবটা করেছে। ও আমাদের পরিবার ছিল'। এরপর সংযোজন, ‘অনেকেই এসেছে। আবার অনেকেই চলে গিয়েছে। কিন্তু, ভুলা অন্য ধাঁচের মানুষ ছিল। কারও দুঃখের দিনেও তাঁর মুখে হাসি ফোটাতে পারত ও। মনের জোর যোগাত। অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনেও ইতিবাচক মনোভাবের মাধ্যমে আলো ফোটাত ও। ভেঙে পড়ার দিনগুলোয় আগলে রাখত। গুডবাই ব্রাদার!’জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই হৃদরোগের সমস্যা ছিল সুব্রতর। প্রি-ম্যাচিওর বেবি ছিলেন তিনি। ১০ বছর বয়সে প্রথমবার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। দ্বিতীয় ওপেন হার্ট সার্জারি হয় গতকাল (শনিবার) ভোরে। রাতের দিকে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। মিনিট কয়েকের মধ্যেই মৃত্যু হয় হয় সুব্রতর, জানিয়েছেন পৃথিবী ব্য়ান্ডের মুখ কৌশিক চক্রবর্তী। ২০১৫ সালে সুব্রতর সঙ্গে প্রথম আলাপ কৌশিক চক্রবর্তীর। তাঁর কাছে গিটার শিখতে এসেছিল ভুলা। তারপর আজীবন গুরুর সঙ্গ ছাড়েননি। গিটারিস্ট হিসেবে কৌশিকের অন্য ছাত্রদের সঙ্গে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিত। কৌশিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘২০১৯ সালে পৃথিবী ব্যান্ডটা একেবারে ভেঙে নতুন লাইনআপ তৈরি হয়েছিল। সেই সময় অনেকেই আমাদের সঙ্গ দেয়নি, তবে সুব্রত পাশে ছিল। ও শেষদিন পর্যন্ত আমাদের ভালোবেসেছিল। আমাদের ভালো চেয়েছিল।’ প্রিয় ছাত্রের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কৌশিক। বললেন, ‘নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতাম ওকে, কাল শেষবার দেখে এলাম’। গলা বুজে এল তাঁর।