সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই ছবিটি যাঁরা ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন, বা এই ছবির গান তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা দেখেছেন, শুনেছেন তাঁরা ভিডিয়োতে দেখেছেন কাচের দেওয়াল ভাঙার দৃশ্য। কিন্তু সেটা কি VFX ছিল নাকি সত্যিই কাচের দেওয়াল ভাঙা হয়? সৃজিত জানালেন যা দেখা গিয়েছে সবটাই বাস্তবেই ঘটেছে। শুধু তাই নয়, রাজকাহিনি ছবির অজানা কাহিনিও এদিন শোনালেন তিন ইয়ারি পডকাস্ট শোতে।
আরও পড়ুন: 'একটা সময় হানিমুন পিরিয়ড, শরীরের মোহ চলে যায়, তখন...' ভালোবাসা আর অভ্যাসের ফারাক বোঝালেন পরম
আরও পড়ুন: ‘যখন গল্পটা বললাম, হাউহাউ করে কাঁদল...’, এই রাত তোমার আমার-এর নেপথ্যের কাহিনি জানালেন পরমব্রত
কী জানালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
VFX নয়, সৃজিত মুখোপাধ্যায় কেন বাস্তবেই সমস্ত ঘটনা ঘটান সেটাই এদিন ফাঁস করেন। পরিচালকের কথায়, 'রাজকাহিনির সময় থেকে বিশ্বাস করি বাংলায় কিছু জিনিস VFX করা যায় না। ওগুলো আসলেই করতে হয়। যেমন আগুন, জল। রাজকাহিনিতে আমি আসলেই আগুন লাগিয়েছিলাম সেটে। পুরো সেটটা পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। আগুন যখন জ্বলছিল ভিতরে অভিনেত্রীরা ছিলেন। আমি ক্যামেরা নিয়ে ঢুকেছিলাম। আমার হাত ঝলসে গেছিল।' সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই পরিচালকের মতে, 'মৃত্যু ভালো, খারাপ VFX এর থেকে। সেই জায়গা থেকে এই চ্যালেঞ্জ ছিল।'
সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই ছবির সেটে কী ঘটেছিল সেটা বর্ণনা করে এদিন সৃজিত বলেন, 'ঘরটাই কাচের বানাব ঠিক করলাম। কিন্তু রঙ করা। কাচ ভেঙে পড়াটা প্রথমে ভেবেছিলাম সুগার গ্লাস দিয়ে করে ব্লাস্ট করব। আমার প্রোডাকশন ডিজাইনার বলল সুগার গ্লাসের অত বড় দেওয়াল সাপোর্ট করবে না। এমনি দুম করে শটের আগে ভেঙে পড়তে পারে। তো মোটা কাচ দিতে হবে বলল। আমি বললাম তাই দে। এবার যেদিন শ্যুটিং সেদিন আমায় ডেকে নিয়ে গিয়ে দেখাচ্ছে ফাইটাররা প্রাণপণ চেষ্টা করছে কাচটা ফাটানোর। কিন্তু সেটার কিছু হচ্ছে না। একের পর এক ব্লাস্ট করছে, তাতে একটা দুটো করে একটু একটু ক্র্যাক হচ্ছে। আমি সেটা দেখে বললাম কাচ ফাটছে না মানে গোটা সিকোয়েন্সটাই তো এটার উপর দাঁড়িয়ে। তখন বললাম যে ম্যানুয়ালি ফাটা। হাতুড়ি দিয়ে যেভাবে কাচ ফাটানো হয় ওভাবে। ১৬টা হাতুড়ি জোগাড় করা হল। মাটিতে আধশোয়া অবস্থায় সময়মতো মারল আর দেওয়ালটা ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ল। শুধু ভেঙে পড়ল না। ছোট ছোট কাচের টুকরো ছিটকে অনেকেরই লাগল। ফাল্গুনি দার থুতনির কাছে কেটে গেছিল। ডোন্ট ট্রাই দিস অ্যাট হোম।'