২০ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে দেবের খাদান। আপাতত গোটা বাংলার শিল্পীদের চোখ এই সিনেমার দিকে। যার সবচেয়ে বড় কারণ হল, কমার্শিয়াল ঘরনার ছবিতে ফিরেছেন দেব বহু বছর বাদে। ইতিমধ্যেই ছবির প্রচারে জান লড়িয়ে দিয়েছেন গোটা খাদান টিম। বেঙ্গল ট্যুর চলছে আসানসোল, বর্ধমান, দুর্গাপুর, মালদা, শিলিগুড়ির মতো জায়গায়।
এবার দেবের খাদান নিয়ে একটি পোস্ট করলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। দুজনেই মাসখানেক আগে টেক্কা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। সৃজিত লিখেছেন, ‘খাদান যা করার চেষ্টা করছে, তা হল বাংলা কমার্শিয়াল ছবির সেই সুখের দিন ফিরিয়ে আনার। যা এই ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান যে অবস্থা তা আরও উন্নত করবে। আরও বড় বাজেটের ছবি বানানোর রাস্তা দেখাবে।’
‘৩৫০০ কিলোমিটার বেঙ্গল ট্যুর করা, সেই সমস্ত এলাকায় গিয়ে পৌঁছন, যেখানে মাল্টিপ্লেক্স তো দূরের কথা, সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় সকলেরই খাদানকে সাপোর্ট করা উচিত, আপনি এই ধরনের সিনেমা ভালোবাসুন আর না বাসুন। অন্তত যদি ভবিষ্যতে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি চান।’, লিখলেন সৃজিত।
তিনি আরও জুড়লেন, ‘এছাড়াও যারা অকারণে সিনেমাটিকে স্লেজিং করছেন, তাদের এই ক্ষুদ্র নিরাপত্তাহীনতার উর্ধ্বে উঠতে হবে এবং উপলব্ধি করতে হবে যে সিনেমাটি ভালো ব্যবসা করলে আসলেই এমন একটি ঘরনা পেতে পারে, যা দিয়ে তাদেরও গৌরবময় প্রত্যাবর্তন হতে পারে। এমনকী এর ফলে তাঁরাও অন্যান্য ঘরণাকে অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
এরপর দেখা যায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই টুইট শেয়ার করে নেন অভিনেতা দেব। লেখেন, ‘ধন্যবাদ সৃজিত দা, অন্তত কেউ তো বুঝল, এই লড়াই শুধু খাদানের জন্য নয় পুরো বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্য। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, খাদান নিয়ে এই একই সুর ধরা পড়েছে টলি-প্রযোজক রাণা সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও। দেবের সঙ্গে সেরকম সুসম্পর্ক না থাকলেও, তিনি লেখেন, ‘খাদান: বাংলা সিনেমার শেষ ভরসা। খাদান সুপারহিট হতেই হবে, নাহলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি অনেক বছর পিছিয়ে যাবে। এখন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি শুধু কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হয়ে গেছে। কলকাতার ২০ কিলোমিটারের বাইরে বা গঙ্গা পেরোলে আর কেউ বাংলা সিনেমা দেখে না। গ্রামের বাঙালি দর্শক আর সিনেমা হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখে না। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন শেষ বাংলা সিনেমা যেটা বাংলার গ্রামগঞ্জের দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছে সেটা ৭ বছর আগে, অ্যামাজন অভিযান। তারপর থেকে যেসব সিনেমা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে আপনারা শোনেন সেগুলো সব ওই কলকাতার মাল্টিপ্লেক্স ও ২০ কিমির মধ্যে সিনেমা হলে। আর বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, বর্ধমান ইত্যাদি জেলা সদর শহরগুলোতে। বাংলার গ্রামগঞ্জের সিনেমা হলে দর্শক কিন্তু কেজিএফ, জওয়ান, পাঠান, পুষ্পা সব দেখে, কিন্তু বাংলা সিনেমা দেখে না। গ্রামগঞ্জের দর্শক, বলা ভালো, দেখার মত ভালো বাংলা সিনেমা পায় না তারা।’