সলমন খানের সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে থাকেন তিনি। 'ভাইজান'-এর কাছে পৌঁছনোর আগে পেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। তিনি অনুমতি দিলে তবেই 'ধরাছোঁয়া'-র মধ্যে আসেন তারকা।'তিনি' সলমনের ২৬ বছরের পুরোনো দেহরক্ষী শেরা। এই শেরা শুধু সলমনের প্রধান দেহরক্ষীই নন, তারকার দেহরক্ষী দলের প্রধান। সম্প্রতি,এক সাক্ষাৎকারে সলমনের সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপ থেকে পরস্পরের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের ব্যাপারে মুখ খুললেন শেরা। সঙ্গে জানালেন ছেলে টাইগারকে বলিউডে লঞ্চ করার ব্যাপারে তাঁর 'মালিক'-এ উদ্যোগের কথা।শেরার কথায় জানা গেল, বহু বছর আগে ভারত ট্যুরের মিউজিক কনসার্টে হলিউড গায়িকা উইগফিল্ডের দেহরক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানেই তাঁর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় সলমনের। এরপর প্রখ্যাত হলিউড নায়ক কিয়ানু রিভস যখন ভারত ভ্রমণে আসেন তখনও তাঁর দেহরক্ষীর দায়িত্ব বর্তায় শেরার ওপরেই। কিয়ানু সেইসময় হলিউডের বিরাট তারকা। বক্স অফিস কাঁপিয়ে মুক্তি পেয়েছে 'স্পিড'. মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে 'ম্যাট্রিক্স।' সেটা ১৯৯৯ সালে। মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত একটি বলিউড পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন কিয়ানু। সেইসময়ে সলমনের সঙ্গে আলাপচারিতায় হয় তাঁর। এটি ছিল সেরার সঙ্গে 'ভাইজান' এর সঙ্গে সাক্ষাতের দ্বিতীয় পর্ব। এর কিছুদিন পর চন্ডীগড়ে সলমনের একটি অনুষ্ঠানে তারকার দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে তা সুনিপুণভাবে পালন করেন তিনি। শেরার কথায়,' সেই শুরু। এরপর থেকে সলমনের নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে থেকেছি আমি। ' শেরার কথা থেকে আরও জানা গেল করোনার কারণে অতিমারী পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে এতদিনে তাঁর ছেলে টাইগারকে বলিউডে লঞ্চ করে ফেলতেন সলমন।অন্যদিকে, সলমনও শেরার প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ২০১১ সালে নিজের অভিনীত ছবির নাম 'বডিগার্ড রেখে। ছবির একটি গানের দৃশ্যে সলমনের সঙ্গে স্ক্রিন ভাগও করতে দেখা গেছিল শেরাকে। এমনকি ছবিতে নিজের পোশাকে সেই সংস্থার লোগো রেখেছিলেন সলমন যা বাস্তবে শেরার ব্লেজারে আটকানো থাকে।