আপাতত জুরিখ শহরে আছেন শ্রীলেখা। সেখান থেকে নিত্যদিন ছবি-ভিডিও পোস্ট করছেন সাজুগুজু করে। তবে, তাল কাটল সোমবার রাতে। দময়ন্তী সেন সোমবার রাতে ফেসবুকের এক লাইভে অভিযোগ করেন, শ্রীলেখার সঙ্গে ডেটে যাওয়ার লোভে যে সারমেয়কে দত্তক নিয়েছিলেন শশাঙ্ক ভাবসর, তিনি সেই খুদে পশুটিকে খুন করেছেন। আর তা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীলেখা ও সোশ্যাল মিডিয়া। দময়ন্তীর লাইভ দেখার পর অভিনেত্রী প্রাকশ্যেই ক্ষমা চান সকলের কাছে। আর তারপর নিজের ফেসবুকে ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’-এর সেই সদস্যকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন অভিনেত্রী।
জুলাইতে যিনি পথপশুদের যত্ন করবেন, ভালবাসবেন এবং পথপশুকে দত্তক নেবেন, তার সঙ্গে কফিডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শ্রীলেখা। তারপরেই তাঁকে চায়েওয়ালা ক্যাফেতে শশাঙ্ক-র সঙ্গে দেখা যায়। সেসময় শশাঙ্ক জানিয়েছিলেন, শ্রীলেখার ডাক নাম যেহেতু টুম্পা, সেহেতু তিনি তাঁর আদরের পোষ্যকে সেই নামেই ডাকবেন। সোমবার রাতে ফেসবুকে দুঃসংবাদ দেন শশাঙ্ক। ফেসবুকে লেখেন ‘টুম্পা আর আমাদের মধ্যে নেই।’ সেই পোস্টেও নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা তাঁর ফেসবুকের ওয়ালে লেখেন, ‘শশাঙ্ক ভাবসর তুমি না রেড ভলেন্টিয়ার্স? আমার থেকে যে কুকুরের বাচ্চাটিকে নিলে তার হদিশ দাও। এত বড় সাহস তোমার! বাচ্চাটাকে রাখতে না পারলে নিয়েছিলে কোন আস্পর্ধায়? আমার সঙ্গে ডেটে যাওয়ার জন্য? ছি, তুমি রেড ভলেন্টিয়ার্সের নামে কলঙ্ক। তোমাকে হাতের সামনে পেলে মেরেই ফেলতাম। দময়ন্তী, ছাড়বি না এটাকে, আর আমাকেও ক্ষমা করিস… এর শেষ দেখে ছাড়ব শশাঙ্ক!’
শ্রীলেখার এই পোস্ট দেখে অনেকেই তাঁকে সমর্থন করেছেন। পোষ্যর অযত্নের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন সেই যুবকের বিরুদ্ধে। তবে অনেকে আবার এভাবে ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’দের নাম করে কুৎসা রটানোয় বাম-মনষ্ক শ্রীলেখার সমালোচনাও করেছেন। তাঁদের মতে, যে কেউ চাইলে নিজেকে রেড ভলেন্টিয়ার্স বলে দাবি করতে পারে। ফেসবুকের ফেজেও লাখ লাখ সদস্য। শ্রীলেখারই উচিত ছিল আবেগে না ভেসে আরও সাবধান হওয়া।