‘শঙ্খ দিদি’র পর বাজারে এসে গেল ‘গিটার দিদি’। হ্যাঁ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সায়ন্তিকার ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে এমনটাই বলছেন নেটিজেনরা। আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ডানলপ এবং টবিনরোডের প্রতিবাদী সভামঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক সায়ন্তিকা।
পরনে সাদা সায়োলার, বরাহনগরের বিধায়ককে মঞ্চে পাওয়া গেল পছন্দের গিটার হাতে। তবে এবার গিটার বাজিয়ে বা বলা ভালো গিটার বাজানোর ধরণের জেরে ট্রোলের শিকার সায়ন্তিকা। মঞ্চে সকলে মিলে সমবেত কন্ঠে গাইছে, ‘আগুনের পরশমণি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সঙ্গে গিটারে তাল মেলাতে গিয়ে এক্কেবারে বেতাল সায়ন্তিকা! তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের শেয়ার করা ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে কটূক্তির বন্যা। রীতিমতো তুলোধনা করা হল সায়ন্তিকাকে।
একজন লেখেন, ‘এটা অনেকটা ঋতুপর্ণা এর শঙ্খ বাজানোর মতো’। অপর একজন লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে... এইসব দেখে এদের চটি ছুঁড়ে মারতেন’। অপর একজন লেখেন, ‘এত দিন আমি ভুল গিটার বাজিয়েছি আজ ঠিকটা দেখলাম’। নায়িকার গিটার বাজানোর ধরণ নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তোলেন, কেউ জানতে চান এই গানের সঙ্গে গিটার বাজানোর দরকারটা কোথায়? কেউ সোজা রোদ্দুর রাই-এর সঙ্গে তুলনা টেনে বসলেন।
ঋতুপর্ণার শাঁখ বাজানো নিয়ে ট্রোলিং শুরু হতেই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জিতু কমল। তবে সহকর্মী সায়ন্তিকার ক্ষেত্রে অবশ্য অবস্থান বদলালেন নায়ক। নিজেই সায়ন্তিকার গিটার বাজানোর ভিডিয়ো পোস্ট করে সেটাকে ‘দৃষ্টিকুটু’ বলে বসলেন। শুধু তাই নয়, তিনি আরও লেখেন, ‘এক সময় বাংলার রাজনীতির দিকে গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে থাকতো। স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলার রাজনীতির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। আজও ২০২৪ এ বাংলার রাজনীতির ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু এগুলো কি..! পেছনে বসে থাকা মা-বোনেরাও কী মানতে পারছেন?? যে বা যারা টিকিট দিলেন, একবারও ভাবলেন না! ওঁর স্বাদ, ওঁর শখ,ওঁর রাজনৈতিক জ্ঞান সম্বন্ধে??? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বাংলার রাজনীতিকে! ট্রাজেডি না কমেডি, বিরহ না আনন্দ! অনুভূতিটা বুঝতেই পারছি না!’
সায়ন্তিকা অবশ্য এই ট্রোলিং-এর পালটা জবাব দেয়নি। প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে তাঁর একমাত্র দাবি, ‘মেয়েটির বাবা-মা আজ সর্বহারা, আমাদের একটাই দাবি যে বা যারা দোষী, তাদের ফাঁসি হোক’। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধিদের ‘মমতা সরকার উলটে’ দেওয়ার দাবি নস্যাৎ করে সায়ন্তিকা বলেন, ‘আগে ওরা নিজেরা নির্বাচিত হয়ে আসুক, তারপর তো মমতার সরকার উলটে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বসে ফেক নিউজ ছড়িয়ে কী হবে? সত্যিটা সত্যিই থাকবে’। মিডিয়াকে কিনে নিয়ে বিরোধিরা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, বলে অভিযোগ করেন সায়ন্তিকা।