সামনেই জামাই ষষ্ঠী, তার আগে প্রতিটা বাঙালি বাড়িতেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যতিক্রম নন টলিপাড়ার সেলেবরাও। বিয়ের পর এবছর দ্বিতীয় জামাইষষ্ঠী রূপাঞ্জনা-রাতুলের। ঠিক কী ভাবে তাঁরা জামাই ষষ্ঠী কাটাবেন?
এই প্রসঙ্গে সংবাদ প্রতিদিনকে রূপাঞ্জনা বলেন, ‘এবছর জামাইষষ্ঠীর আলাদা করে কোনও প্ল্যান নেই। এমনিতেই বাড়িতে আমাদের প্রতিদিন জমিয়ে খাওয়া দাওয়া হয় সুযোগ পেলেই। তবে হ্যাঁ, একটা অনুষ্ঠানের দিন তাই সকালে ও বিকালে একটা উদযাপনের কথা ভেবেছি। এমনিতে তো দুই বাড়ি থেকে খাবারদাবার আসতেই থাকে। তাতে কোনও ভাটা নেই।’
তবে জামাই ষষ্ঠীতে উপহারের একটা বিষয়ও থাকে। তবে অভিনেত্রী এই পর্ব আগে থেকেই মিটিয়ে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘এদিনের উপহার আমাদের আদানপ্রদান হয়ে গিয়েছে। আমাদের আবার কেনার সঙ্গে সঙ্গেই উপহার দেওয়া-নেওয়ার পর্ব মিটে যায়। দিনের দিন দেব বলে রেখে দেওয়া হয় না। আমি দুই বাড়ি থেকেই শাড়ি উপহার পেয়েছি। রাতুল পেয়েছে টি-শার্ট, ট্রাউজার।’
জামাইষষ্ঠী আদতে সন্তানের মঙ্গলকামনায় পালন করা হয়। তাই নিজের ছেলেই নামে ষষ্ঠীর ব্রতও রাখবেন নায়িকা। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওর দিদা এবং ঠাকুমা দু’জনেই ওকে ‘ষাট’ দেবে। আমি নিজে রিয়ানের জন্য ষষ্ঠী পালন করব।’
আরও পড়ুন: 'তুই আমার হিরো'তে টানটান মোড় আসতেই মুখ বদল ‘মধুবনী’র! এন্ট্রি নিলেন সদ্য বিবাহিত এ কোন অভিনেত্রী?
প্রসঙ্গত বছর তিন আগে পাহাড়ে আংটি বদল করেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। দু'জনে অবশ্য ৫ বছর ধরেই ছিলেন সহবাসে। করোনার সময় দেখা তাঁদের। তিন দিনের মধ্যেই রাতুলের থেকে প্রেম প্রস্তাব আসে রূপাঞ্জনার কাছে। রাতুল মুখোপাধ্যায় অভিনেত্রীর থেকে প্রায় ৬ বছরের ছোট। তবে বয়স কখনই কাঁটা হয়নি তাঁদের সম্পর্কে। দীর্ঘদিন প্রেম এবং লিভ ইন করার পর সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন রাতুল মুখোপাধ্যায় এবং রূপাঞ্জনা মিত্র।
১৭ বছর আগে ভালোবেসে রেজাউল হককে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র, সেটা ছিল ২০০৭ সাল। যদিও ভিনধর্মে সেই বিয়ে ছিল পরিবারের অমতেই। সেই দাম্পত্য সুখেরও হয়নি। ২০১৭ সালে দু'জনের আইনি বিচ্ছেদ হয়। এরপর একা হাতেই ছেলেকে মানুষ করেছেন রূপাঞ্জনা।