বুধবার রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশনের শুনানির দিন ধার্য ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। এদিন জাস্টিস হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে শুনানি হল এই আবেদনের। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত বিহার পুলিশের হাত থেকে মুম্বই পুলিশের হাতে হস্তান্তর করতে বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন রিয়া। তবে এদিন শুরুতেই কেন্দ্র সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হল সুশান্তে মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের বিহার সরকারের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে কেন্দ্র। এবং আজকের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে সিবিআই তদন্তের নোটিফিকেশন জারি করবে মোদি সরকার। সবপক্ষের তর্ক-বিতর্ক শুনে এদিন আদলত বিহার ও মুম্বই পুলিশ উভয়কেই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের এফআইআরে উল্লিখিত মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে কোনওরকম সুরক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।আদালতের এই রায় সামনে আসবার পর বিহার পুলিশের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে জানান, 'রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে আমারা কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারিনি। উনি পলাতক, উনি সামনে আসছেন না। আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই যে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে ওঁনার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা'। বিহার পুলিশের তরফে এর আগেও রিয়া চক্রবর্তীর ‘বেপাত্তা’ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই পুলিশ কমিশনার,পরমবীর সিং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রিয়া তদন্তে পূর্ণ সহয়োগিতা করছেন। তাঁকে ইতিমধ্যেই দুবার জেরা করেছে মুম্বই পুলিশ। তিনি আরও বলেন,' ২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে ২০২০-র জুন পর্যন্ত সুশান্তের ব্যাঙ্কের নথিপত্র খতিয়ে দেখেছে মুম্বই পুলিশ।সুশান্তের অ্যাকাউন্টে (কোটাক মহিন্দ্রা) প্রায় ১৪.৫ টাকা ছিল। কোন বড়সড় টাকা রিয়া চক্রবর্তী বা তাঁর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়নি'। তিনি আরও যোগ করেন, রিয়া ৮ই জুন সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান। কারণ তাঁর মানসিক পরিস্থিতিও নাকি ঠিক যাচ্ছিল না।উল্লেখ্য বুধবার, সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্র সরকারকে তিনদিনের সময় দিয়েছে, মুম্বই পুলিশ গত ৫১ দিনে এই মামলার কী তদন্ত করেছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। মামলার সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে তিনদিনের সময় দেওয়া হয়েছে জবাব দেওয়ার জন্য। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে।