সময়টা বিশেষ ভালো যাচ্ছে না রকুলপ্রীত সিং ও তাঁর পরিবারের। একের এক ধাক্কায় বিপর্যস্ত অভিনেত্রীর পরিবার। গত জুলাইতে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন রকুলপ্রীতের ভাই। অন্যদিকে আবার বড়সড় আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন অভিনেত্রীর শ্বশুরমশাই ও স্বামীর প্রযোজনা সংস্থা পূজা এন্টারটেইনমেন্ট। সেগুলি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে, এরই মাঝে নিজের অসুস্থতার খবর দিলেন অভিনেত্রী।
রকুলপ্রীত সিং-কে বহুদিন জনসমক্ষে সেভাবে দেখা যায়নি। এখন অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, নিজের জন্মদিনের ঠিক কাছাকাছি সময়ে তিনি পিঠে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। যে কারণে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দীপাবলির সময় থেকে তিনি ফের হাঁটতে সক্ষম হন ঠিকই তবে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। তবে তাঁর কথায়, ‘আমি এখন অনেকটাই ভালো আছি। আমি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি’।
কিন্তু কীভাবে পেয়েছিলে চোট?
রকুল জানাচ্ছেন, '৫ অক্টোবর আমি ৮০ কেজি ওজনের একটা ডেডলিফট তুলেছিলাম। তখনই আমি আমার টেলবোনে ব্যথা অনুভব করলাম। তবে আমি থামি নি, যা আমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। আমি ওয়ার্কআউট চালিয়ে গেলাম, তারপর সেখান থেকে সোজা শুটিংয়ে চলে গেলাম। এরপর সন্ধে নাগাদ আমার খুব ভয়ানক খিঁচ লাগে, নিজে পোশাকও পরতে পারিনি। কারণ সামনের দিকে ঝুঁকতে পারছিলাম না। তবে তখনও বুঝতে পারিনি, ভাবলাম খিঁচ লেগেছে। তাই ব্যথা নিয়ে শুটিং করতে থাকি। এরপর ১০ তারিখের তারিখের মধ্যে এটা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায়। সেটা এতটাই ছিল যে আমি যখন আমার জন্মদিনের পার্টির জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিল আমার শরীরের নিচের অংশ উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এরপর ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে যাই, প্রেসারও কমে গিয়েছিল। আমাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হল তারপর থেকে টানা ১০ দিন বিছানায় শয্যাশায়ী। বেড রেস্টও নয় কিন্তু এক্কেবারে শয্যাশায়ী ছিলাম।'
অভিনেত্রী আরও জানান যে তাঁর স্বামী, প্রযোজক জ্যাকি ভাগনানি তাঁর জন্য একটি বিশেষ সূর্যস্নাত বার্থডেপার্টির পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় তিনি সেটা দেখতেও পাননি। কারণ সেই পার্টির এক ঘণ্টা আগেই যন্ত্রণায় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
আরও পড়ুন-পর্নোগ্রাফি মামলায় বাড়িতে তল্লাশির পর এবার শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে জেরার জন্য তলব করল ED
আরও পড়ুন-ইয়ালিনির জন্মদিনে জগন্নাথ দেবের 'পুষ্প অভিষেক', হরে কৃষ্ণ নামে নাচলেন শুভশ্রী, কী করল রাজ কন্যা?
রকুলপ্রীত জানাচ্ছেন, এই কঠিন সময় তাঁর স্বামী জ্যাকি তাঁর কাছে শৈলচূড়ার মতো প্রতিরক্ষা কবচ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। রকুলের কথায়, ‘ এই সময় জীবনসঙ্গী হিসাবে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে বোঝাটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেসময় আমার মতো কাজপাগল মানুষের শারীরিকভাবেও ভীষণ ক্ষতি হয়েছিল। আর শুধু এটা ১০ দিনের বিষয় নয়, এখনও আমি ১০০ শতাংশ সুস্থ নই, তবে জ্যাকি আমার সর্বক্ষণ পাশে থেকেছে। ও কঠিন পরিস্থিতিও সুন্দরভাবে সামলে নিতে পারে। আমির জ্যাকির কাছে কৃতজ্ঞ।’