‘একটা বয়সের পর বিয়ে শব্দটা থার্মোকলের মতো হালকা হয়ে যায়, তখন ওজন থাকে শুধু বন্ধুত্বের’, এমনটাই বিশ্বাস প্রসেনজিতের! কিন্তু প্রেম? প্রেম কি চিরন্তন নাকি প্রেমও ফুরিয়ে যায় একটা সময় পর? পুরোনো প্রেম যদি হঠাৎ ফের দরজায় কড়া নাড়ে, তখন কি পালটে যায় জীবন? এমনই অজস্র প্রশ্ন নিয়ে সামনে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের অযোগ্য ছবির প্রথম ঝলক। আরও পড়ুন-এটা নিয়ে ৫০ বার, 'অযোগ্য' হয়ে একে অপরের হাত ধরছেন, এবারও তাঁদের 'যোগ্য' প্রমাণ করবে দর্শক?
এই ছবির হাত ধরেই ৫০ নম্বর বার জুটিতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। উত্তম-সুচিত্রার পরবর্তী সময়ে বাংলা ছবির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জুটি তাঁরা। বাংলা কর্মাশিয়্যাল ছবির দুই মহারথী একটা সময় 'মায়ার বাঁধন', ‘বাবা কেন চাকর’, 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ'-এর মতো ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৪ বছরের দূরত্বের পর প্রাক্তনের হাত ধরে ফেরেন দুজনে। এরপর কৌশিকের ‘দৃষ্টিকোণ’-এ দর্শক দেখেছে তাঁদের। এবার অযোগ্য নিয়ে হাজির তাঁরা।
এই ছবিতে পর্ণা (ঋতুপর্ণা)-র প্রাক্তন হিসাবে দেখা মিলবে প্রসেনজিৎকে। পর্দাতেও তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম প্রসেনজিৎ। ট্রেলারের শুরুতেই উঠে এল পর্ণার প্রাক্তন ও বর্তমানের কথোপকথন। দীর্ঘদিন পর প্রাক্তনের মুখোমুখি হয়ে ‘মনের বোঝা’ হালকা করতে চায় পর্ণা। রক্তিম মজুমদার (শিলাজিৎ) আচমকাই চাকরিহারা। চাকরি চলে যাওয়ায় রক্তিম-পর্ণার সংসারের সমীকরণ হঠাৎই বদলে যায়। হাউস হ্যাজব্যান্ড হয়ে দিন কাটানোর যন্ত্রণা তিলে তিলে শেষ করছে রক্তিমকে।
প্রসেনজিৎকে ঘিরে রয়েছে অদ্ভূত রহস্য। ছেলেবেলার বন্ধু পর্ণার সঙ্গে নিজের ‘অসম্পূর্ণ গল্প’টা শেষ করতে সব রিস্ক নিতে তৈরি সে। ‘অযোগ্য প্রেমিক’ তকমা মুছতে অদ্ভূত নেশায় মশগুল প্রসেন। এইবার সে জিততে বদ্ধপরিকর। এই বিপজ্জনক খেলার পরিণতি কী?
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ম্যাজিক আজও অটুট তা সাম্প্রতিক অতীতেও প্রমাণিত। এই জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন আজও চোখ টানে। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা-শিলাজিতের পাশাপাশি এই ছবিতে রয়েছেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী এবং অম্বরীশ ভট্টাচার্য।
ছবি নিয়ে উত্তেজিত ইন্ডাস্ট্রি স্বয়ং। বুম্বাদা আগেই জানিয়েছেন, ‘কৌশিকের মতো পরিচালকের সঙ্গে পরপর কাজ করতে পারাটা দারুণ অনুভূতি। আর ঋতুর সঙ্গে আমি ৫০তম ছবিতে কাজ করছি। আশা করছি, এটা স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কথায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে আসাটা সম্মানের। ঈশ্বর ও অডিয়েন্সের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কৌশিকদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দারুণ। আশারাখি প্রত্যাশা মতো কাজ করতে পেরেছি।’
আগামী ৭ই জুন মুক্তি পেতে চলেছে অযোগ্য। দৃষ্টিকোণ, অর্ধাঙ্গিনীর পর ফের স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্যের মোড়কে সাজানো গল্পে নিয়ে হাজির কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এই বছর এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনটে বাংলা ছবি এক কোটির গণ্ডি ছুঁতে পেরেছে, অযোগ্য ঘিরে আশায় হল মালিক থেকে ডিস্ট্রিবিউটররা।