২৭ নভেম্বর চার হাত এক হয়েছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর। টলিপাড়ার লম্বা কেরিয়ারে একাধিক নারীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে অভিনেতার। ২০২৩-এর শেষে অবশেষে সংসার জীবনে পা রেখেই ফেলেছেন, ঘুচিয়ে নিয়েছেন আইবুড়ো তকমা। বিয়ের দু মাসের মাথায় ‘পরমপিয়া’ করে ফেললেন দ্বিতীয় হানিমুন। শৈলশহর দার্জিলিংয়ে কাটাচ্ছেন ছুটি।
বিয়ে সেরেই আয়ারল্যান্ডে হানিমুনে গিয়েছিলেন পরমব্রত-পিয়া। সেখান থেকে একাধিক ছবি শেয়ার করেছিলেন দুজনে সোশ্যালে। যদিও বেশিরভাগটাই একা। ‘দোকা’ ছবি ছিল মাত্র একখানা। আপাতত পিয়ার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দার্জিলিং।
কুঙ্গা-র একবাটি স্য়ুপি নুডলসের ছবি দিয়েছেন পরম-ঘরনী। আর সঙ্গে এই বিখ্যাত চাইনিজ রেস্তোরাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় মেনু চিলি পর্কেরও। কুঙ্গার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া হল গ্লেনেরিজেও। পরমব্রতর একটি ছবিও দিলেন ইনস্টা স্টোরিতে। যা তোলা হয়েছে পিছন থেকে।
কালো ওভার কোট পরে আছেন পিয়া-র স্বামী। কাঁধে ব্যাগপ্যাক। দু হাত ঢোকানো জ্যাকেটের পকেটে। চারদিক মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে। গ্লেনেরিজের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন। যদিও সেখানে তাঁরা একা নেই, দুই বন্ধুও রয়েছে। সঙ্গে চা বাগান, লম্বা দেবদারু গাছ, পাহাড়ের খাদের সৌন্দর্যও উঠে এসেছে পিয়ার ইনস্টা স্টোরিতে। পোস্ট করেছেন ফেসবুকেও।
দেখে নিন পরম-পিয়ার দার্জিলিং অ্যালবাম-

কুয়াশা-মাখা দার্জিলিংয়ে পরমব্রত আর পিয়া।

দার্জিলিংয়ে খানাপিনা।
পরমব্রত-পত্নী পিয়া গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের অঙ্গ সরাসরি না হলেও, কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে সমাজকর্মী হিসেবে। আর এক এনজিও-র কাজেই নাকি আলাপ হয়েছিল পরমের সঙ্গে। খুব ভালো গানও গান পিয়া চক্রবর্তী।
বিয়ের পর থেকে কম ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়নি পরমব্রত আর পিয়াকে। আসলে পরমব্রতর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন গায়ক অনুপম রায়কে। অনুপমের সঙ্গে একাধিক শো-তেও গিয়েছেন। ২০২১ সাল বিয়ে ভাঙার ঘোষণা পরেন অনুপম আর পিয়া যৌথভাবে। সেই সময়তে বিয়ে ভাঙার কারণ হিসেবে নাম উঠেছিল পরমব্রতর। তবে সেই সময় একে-অপরকে শুধু ‘বন্ধু’ বলেই দাবি করেছিলেন। এমনকী, বিয়ের পরেও এক সাক্ষাৎকারে পরমব্রতকে সাফ বলতে শোনা গিয়েছে, যখন তাঁদের লিঙ্কআপ করে খবর হয়েছে তখনও তাঁরা শুধুই বন্ধু ছিলেন। অনেক পরে নেন বিয়ের সিদ্ধান্ত।
ট্রোলে মুখ খুলেছিলেন পিয়া নিজেও। সাফ জানিয়েছেন, যেই দুই পুরুষ তাঁর জীবনে এসেছে, সবাই ছিল কারও না কারও প্রাক্তন। তাহলে কেন শুধু তাঁর চরিত্র নিয়েই এত কাঁটাছেড়া। এমনকী, নেটপাড়ায় রটে যাওয়া ‘দুই সন্তানকে ছেড়ে পরমব্রতকে বিয়ে করেছেন তিনি’, এমন রটনারও সরাসরি প্রতিবাদ করেন। ফেসবুকে সেই সময় লিখেছিলেন, ‘জনস্বার্থে প্রচার করছি, বাধ্য হয়ে। পিয়া চক্রবর্তীর, মানে আমার, কোনো সন্তান নেই। কস্মিনকালেও ছিল না। দুটিও নয়, একটিও নয়। দয়া করে ফেক নিউজ ফ্যাক্টরির দ্বারা মুর্গী হবেন না। আচ্ছা নমস্কার। জনতার মঙ্গল হোক।’