কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে শ্রীময়ী চট্টোরাজের ৩ নম্বর বিয়েতে বারবার সামনে এসেছে অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ১০ জানুয়ারি আইনিভাবে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। যদিও ২০২১ সালে করোনা পরবর্তী সময় থেকেই হয়েছিল ঝামেলার সূত্রপাত। ডিভোর্সের পর ছেলে ওশের দায়িত্ব পেয়েছেন পিঙ্কি। ১০ বছরের সন্তানের দায়িত্ব নিতেও চাননি কাঞ্চন। তাঁর সাফ কথা, একটা বাচ্চাকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা করতে চাননি।
ডিভোর্সের পর এক সাক্ষাৎকারে, কাঞ্চন প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা যায় পিঙ্কিকে। প্রাক্তনকে জীবন থেকে মুছেই ফেলেছেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, একটা মানুষের জীবনে বিয়ের বাইরেও অনেক কিছু আছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়া তাঁর জীবনের শেষ হতে পারে না।
আরও পড়ুন: জড়িয়ে ধরে টেনে নিলেন বুকে, কার আদরে এভাবে সাড়া দিলেন মিমি? ছড়িয়ে গেল ভিডিয়ো
তবে পিঙ্কি মনে করেন, কাঞ্চনকে বিয়ের থেকে তাঁর সবচেয়ে বড় পাওনা তাঁর শ্বশুরমশাই। আনন্দবাজারকে বলেছিলেন, ‘হয়তো সেই মানুষটার সঙ্গে দেখা হবে বলেই আমাদের বিয়েটা হয়েছিল। তিনি কাঞ্চনবাবুর বাবা, কার্তিক মল্লিক। তিনি যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনই সুন্দর ভালো ব্যবহার, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, বড় মনের মানুষ। কী সৌম্যকান্তি ব্যক্তি। ২৭ বছর ধরে অন্ধ ছিলেন। ২৭ বছর ধরে চোখে দেখতে পান না, তাও একটা দিন লাঠি ধরেননি। উনি ছিলেন আমার চা-কফি খাওয়ার ব্যক্তি। আমার বাড়িতে কেউ আমাকে কখনও ডাক নাম দেননি। কিন্তু আমার শ্বশুর মশাই দিয়েছিলেন। এত মৃদুভাষী ছিলেন যে প্রথবে মনে হয়েছিল ডাকছেন গিনি। পরে বুঝতে পারলাম ডাকছেন বিনি। কি না, বিনা সুতোয় মালা বাঁধতে পারে।’
আরও পড়ুন: শানের জেরক্স কপি! গলা আর সুরেও ববাকে টক্কর দিয়ে গেল গায়কের ছেলে মাহী
পিঙ্কি জানান, ছেলে তাঁর কাছে শ্বশুরেরই প্রতিচ্ছবি। ওশের মধ্যে তিনি প্রাক্তন বর নয়, কাঞ্চন মল্লিকের বাবাকেই খুঁজে পান। তাঁর কথায়, ‘উনি আমায় বলে গিয়েছিলেন, তোমার ছেলেই হবে। তোমার ছেলে আমার মতোই হবে। তুমি তোমার চা-কফি খাওয়ার পার্টনার কখনও হারাবে না। আমার ছেলের দিকে তাকালে মনে হয়, ও সত্যিই দাদুর মতো হয়েছে। ওশের তো ৯ বছর বয়স, যখন আমাদের ঝামেলাটা শুরু হয়েছিল। ও যেভাবে গোটা ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করেছে, তাতে প্রতিটা মুহূর্তে কার্তিক মল্লিকের সঙ্গে মিল পাই।’
আরও পড়ুন: ‘এত মোহর কোথায় পেলেন…’! রচনাকে ছেড়ে, লকেটের নিশানায় মন্ত্রী-গায়ক ইন্দ্রনীল
ছেলে ওশের ব্যাপারে পিঙ্কি আরও জানালেন, ‘অল্পে বিব্রত হয়ে পড়ে না, নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করে, অন্যকে সাপোর্ট করতে ভালোবাসে। ও আমার সবথেকে বড় মেন্টাল সাপোর্ট। লকডাউনের সময় ডিভোর্সের চিঠিটা এসেছিল। আমি ওকে সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়েছিলাম। ও আমার হাতটা ধরে বলেছিল, মা আমাদের স্কুলে এখন হিউম্যান বডি পড়ানো হচ্ছে। সেখানে পড়েছি আমাদের শরীরে অ্যাপেনডিক্স নামের একটা অংশ থাকে। যেটা আমাদের প্রয়োজন পড়ে না। দরকারে তা কেটে বাদও দিয়ে দেওয়া যায় সহজেই। তুমি এগিয়ে যাও। আমরা খুশি। উনিও খুব ভালো থাকুক একে-অপরের সঙ্গে।’
এখানেই শেষ নয়, ওশ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, যেন তাঁর সব দায়িত্ব মা-কেই দেওয়া হয়। পিঙ্কি নিজেও জানান, তাঁরা এখন একটা টিম। একসঙ্গে ভালো আছেন। ছেলেকে বড় করছেন বললে ভুল হবে, ‘মানুষ করছেন’।