বিগ বস-১৪ র ঘরে একসঙ্গে থাকার সময়ই একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন পবিত্র পুনিয়া এবং এজাজ খান। বেশ কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেমও করেন তাঁরা। কিন্তু নাহ, এই সম্পর্ক বেশিদূর এগোয় নি। আচমকাই গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বরেই শেষ হয়ে যায় এই কিন্তু কেন?
এদিকে পবিত্র-এজাজের সম্পর্ক ভাঙার পিছনে কানাঘুষো উঠে আসছিল ধর্মীয় কারণ। শোনা যাচ্ছিল, ধর্মই নাকি বাধা হয়ে উঠেছিল তাঁদের সম্পর্কে। সত্য়িই কি তাই?
এই বিষয়টি সামনে আসে যখন অভিনেতা এজাজ খানের বাবা জানান, তাঁকে অনেক বন্ধুরা ফোন করে জিগ্গেস করছেন, তাঁর ছেলে পবিত্র পুনিয়াকে ধর্ম বদলের জন্য চাপ দিয়েছিলেন কিনা?
আর এরপরই বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে মুখ খোলেন পবিত্র। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নাহ, ধর্ম কখনওই আমাদের সম্পর্কে সমস্যা ছিল না। আমি আমাদের সম্পর্কের শুরুতেই এজাজকে স্পর্ষ করে বলে দিয়েছিলাম, আমি কোনওদিনই ধর্মান্তরিত হব না। এখন আমি দেখছি, আমি যে ধর্মন্তরিত শব্দটা ব্যবহার করেছিলাম, সেটা নিয়েই কথা হচ্ছে, বাকিটা কী বলেছিলাম, সেটা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জন্ম থেকে একজন ব্যক্তি যখন যে ধর্ম অনুসরণ করেন তাঁর পক্ষে হঠাৎ করে অন্য ধর্ম অনুসরণ করা সম্ভব নয়। এটা আমরা দুজনেই বিশ্বাস করি। আর ইন্ডাস্ট্রিতে জাত এবং ধর্ম দেখা হয় না এটা সকলেই জানেন।’
আরও পড়ুন-ঘিরে একদল লোক! ‘জয় শ্রীরাম’ বলে বাবাকে ফোন করতে বললেন সইফ-পুত্র ইব্রাহিম
আরও পড়ুন-'ডাকিতিয়া বাঁশি'র সুরে ঠুমকা লাগালেন, 'বহুরূপী' সাকসেস পার্টিতে ঋতুপর্ণার নাচের সঙ্গী কে?
এদিকে পবিত্রর এই মন্তব্যের পরই বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেন এজাজ খানের মুখপাত্র। তিনিও একই কথা জানান, বলেন, 'ধর্ম কখনওই তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বলেন, এজাজ এমন একটা পরিবার থেকে এসেছেন, যেখানে একাধিক ধর্মের সদস্য রয়েছেন। তাই ধর্ম এখানে কোনও বাধাই নয়। এছাড়াও পবিত্রর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন এজাজ দীপাবলি এবং গণেশ চতুর্থী সবই উদযাপন করেছেন।'
এদিকে এজাজের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা প্রসঙ্গে পবিত্র অভিনেতা এজাজকে 'নার্সিসিস্ট'-এর তকমা দিয়েছেন। পবিত্রর কথায়, ‘ছেলেরা সবসময় ভাবে মেয়েরা মেয়েলি স্বভাবের হলেই সম্পর্ক ভালো থাকে। একজন মেয়ে যখন আপনার সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলছে, তখন আপনারও তাঁর সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলা উচিত। কিন্তু কোনও পুরুষ যদি আপনাকে দমন করতে চায়, তখন নারীর রুখে দাঁড়ানোর উচিত। তবে এজাজ অনেক বেশি পুরুষত্ব বজায় রাখতে ভালোবাসে।’ অর্থাৎ সম্পর্ক ভাঙার পিছনে এজাজের অতিরিক্ত পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবকেই দায়ী করেছেন পবিত্র পুনিয়া।