মিঠুন পুত্র জানান, ‘সলমন ভাই ও করণ জোহর, এই দুজনই একমাত্র তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। সলমন ভাই বাবাকে ভীষণ ভালোবাসেন এবং যখনই আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করতে পারি কিনা জিজ্ঞেস করেছি, উনি সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বলেছেন, আজা, (চলে আয়)। আমি গিয়েছি এবং ওর সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি।
মিঠুনের সঙ্গে ছেলে মিমো
মিমো ওরফে মহাক্ষয় চক্রবর্তী। তবে মিঠুন পুত্র হিসাবেই তাঁকে বেশি লোকজন চেনেন। তারকা সন্তান হওয়ার পরও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর পথ চলা বিশেষ মসৃণ হয়নি। মিমোর কোনও ছবিই দর্শকদের মনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি। তবে ফের পর্দায় ফিরেছেন মহাক্ষয়। চলতি বছরে মুক্তি পেয়েছে মিমো অভিনীত ছবি ‘জোগিরা সা রা রা’। সেই ছবি প্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হয়েছিলেন মিঠুন পুত্র মহাক্ষয়।
সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের কঠিন সময় নিয়ে কথা বলেছেন মিঠুন পুত্র। বলেছেন, অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে প্রথম দিকে তিনি তাঁর বাবা মিঠুন ও মা যোগিতা বালিকেও অনুরোধ করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বন্ধুদের তাঁর কথা বলার জন্য। ভেবেছিলেন তারকা সন্তান হওয়ার সুবাদে হয়ত ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু সাহায্য পেতে পারেন। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। মিমো বলেন, ‘কেউ কেউ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন, তবে বেশিরভাগ লোকজনই এড়িয়ে গিয়েছেন বিভিন্ন অজুহাতে।’
মিমো বলেন, কঠিন সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু দু'জন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা কারা? মিঠুন পুত্র জানান, ‘সলমন ভাই ও করণ জোহর, এই দুজনই একমাত্র তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। সলমন ভাই বাবাকে ভীষণ ভালোবাসেন এবং যখনই আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করতে পারি কিনা জিজ্ঞেস করেছি, উনি সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বলেছেন, আজা, (চলে আয়)। আমি গিয়েছি এবং ওর সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি। উনি আমার সঙ্গে বসে, অনেক ভাল পরামর্শ দিয়েছেন। আমি বলতে চাই না কতটা উনি আমার জন্য করেছেন, তবে তারপরেও বলছি অনেক করেছেন। তবে আমার দুর্ভাগ্যবশত, সেই প্রকল্পগুলি কখনই শুরু হয়নি...’।