'ইন্ডিয়াস গট ল্যাটেন্ট'-এ রণবীরের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ঝড় বইছে। 'বিকৃত মানসিকতা' বলে ইউটিউবারকে তিরস্কার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আপাতত গ্রেফতারি নিয়ে তাঁকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা’ দিয়েছে আদালত। তবে বহু আগেই নিজের ভবিষ্যদ্বাণীও করে বসেছিলেন রণবীর।
ঠিক কী বলেছিলেন রণবীর আল্লাহবাদিয়া?
এর আগে জনপ্রিয় কমেডিয়ান বীর দাসের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের জেলে যাওয়া প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছিলেন রণবীর। সেই অনুষ্ঠানে কমেডি নিয়ে রণবীরকে খাঁটি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বীর দাস। তিনি বলেছিলেন, ‘অন্তরে থাকা কৌতুক মানুষটিকেই গুরুত্ব দিও। কখনও কৌতুক শিল্পী হওয়ার ভান কোরো না।’
আর একথারই জবাবে, রণবীর উত্তর দিয়েছিলেন, ‘নিজের কৌতুকরস নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। তবে অন্যের জন্য সেটা চ্যলেঞ্জিং হতে পারে। আমার ভিতরে থাকা হাস্যরস নিয়ে আমাকে কখনও স্ট্রাগল করতে হয়নি বন্ধু, তবে আমি যদি আমাক প্রকৃত সেন্স অফ হিউমার প্রকাশ করি, তাহলে হয়তো আমায় জেলেও যেতে হতে পারে।’
কী পড়ে অবাক হচ্ছেন তো? হ্যাঁ, রণবীর বহু আগেই নিজের মানসিকতার বিষয়টি আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। বিতর্কের মাঝে সোশ্য়াল মিডিয়ায় নতুন করে ভাইরাল হয়েছে বীর দাসের সঙ্গে রণবীর আল্লাহবাদিয়ার সেই কথোপকথন।
আরও পড়ুন-‘কাম অন বিরাট…’, কোহলির সেঞ্চুরি, আর ভারত জিততেই মালদা ফিরতি ট্রেনে এটা কী করলেন শুভশ্রী!
রণবীরের কোন মন্তব্যে বিতর্ক?
'ইন্ডিয়াস গট ল্যাটেন্ট'-এ রণবীর এক প্রতিযোগীকে বসে বসেন, ‘আপনি কি সারা জীবন বাবা-মাকে যৌনতায় সামিল হতে দেখতে চান? নাকি তাতে যোগ দিয়ে চিরতরে তা বন্ধ করতে চান?’ ওইদিন রণবীরের এমন প্রশ্ন অপ্রস্তুত হয়েছিলেন শোয়ের প্রতিযোগীও। এখানেই শেষ হয়, প্রতিযোগীকে পুরুষঅঙ্গের মাপ জিগ্গেস করন ইউটিউবার। তাঁর এমন কথায় হতবাক হয়ে যান সময় রায়নাও। যিনি কিনা নিজে ডার্ক কমেডির জন্য পরিচিত, সেই সময় রায়নাও সেদিন রণবীরকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'আরে ভাই তোমার আজ কী হয়েছে?' আর তাঁর সেই মন্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে থাকেন, 'কমেডি ও অশ্লীলতার ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতার সীমানা কী?'
এই মামলায় দেশজুড়ে রণবীরের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। আর সেই সমস্ত মামলা একত্রিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আল্লাহবাদিয়া। আপাতত শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছে। আর এই মামলায় আদালত রণবীরকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিলেও আল্লাহবাদিয়াকে (আবেদনকারী) সকল মামলার তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁকে আপাতত অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা বলেছে। এমনকি মামলা চলাকালীন দেশ ছাড়তেও পারবেন না ইউটিউবার। তাঁকে পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।