প্রথম বার অঙ্কুশ হাজরা আর ঐন্দ্রিলা সেন বড় পর্দায় একসঙ্গে জুটি বাঁধলেন। আর প্রথম ছবিই হিট। রাজা চন্দের ‘ম্যাজিক’ ছবিটির সাফল্য উদযাপন করতেই মলদ্বীপে পাড়ি দিয়েছিলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। অনেকেই এটাকে যুগলের প্রি-হানিমুন বলছেন।

সম্প্রতি অভিনেতা অনির্বান ভট্টাচার্যের বিয়ে হয়েছে। আর তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েই অঙ্কুশ বলেছিলেন, তিনিও এ বার বিয়েটা সেরে ফেলতে চান। পাত্রী তো রেডি।

ঐন্দ্রিলা আর অঙ্কুশের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। বহু বছর ধরে তাঁরা সম্পর্কে রয়েছেন। কোনও দিনই এই যুগল তাঁদের সম্পর্ককে লুকোনোরও চেষ্টা করেননি। শোনা যাচ্ছে, এ বার তাঁরা সরকারি ভাবে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন।

ইতিমধ্যেই অঙ্কুশ নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেটা নিজের হাতে সাজিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। আরও একটা নতুন গাড়ি কিনেছেন অভিনেতা। সব গুছিয়ে নিয়েই আসলে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাইছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা।

একের পর এক টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যখন রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন, তখন ভোটের এই লড়াই থেকে অনেকটা দূরে মলদ্বীপে একেবারে নিজেদের মতো করে ছুটির মেজাজে ধরা দিয়েছেন টলিউডের দুষ্টু-মিষ্টি এই তারকা জুটি।
মলদ্বীপে গিয়ে ঐন্দ্রিলা একেবারে হট অবতারে ধরা দিয়েছেন। কখনও প্রজাপতি আকৃতির অন্তর্বাসের ওপরে শুধু সাদা শ্রাগ পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়েছেন, কখনও আবার পুরো পিঠ খোলা সুইমিং কস্টিউমে লাস্যময়ী হয়ে উঠেছেন।

কখনও আবার বিচের মধ্যে কালো রঙের নেটের টপ পরে দোলনায় দোল খাচ্ছেন অভিনেত্রী। ভিতরের লাল-অন্তর্বাস সুস্পষ্ট।

অঙ্কুশ আবার নানা মজার ছবি পোস্ট করেছেন। কখনও হাজারটা ছবির মধ্য থেকে নাকি বেছে বেছে সেরা ছবিটা দিয়েছেন তাঁর অনুরাগীদের জন্য।

আবার ১ গ্লাস লেমোনেডের দাম ভারতীয় মুদ্রায় হাজার টাকা শুনে চোখ ট্যারা করেছেন। মলদ্বীপে যে হোটেলে রয়েছেন তাঁরা, সেই হোটেলের লেমোনেডের দাম শোনার পর সেটার ছবি দিয়ে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সরবতের মধ্যে লুকোনো হিরে খুঁজছি’।

যুগলে যে শুধু নিজেরাই মজা করেছেন তা নয়। নিজেদের ছবি, ভিডিয়ো শেয়ার করে সকলের সঙ্গে আনন্দটা ভাগ করে নিতে চেয়েছেন।