অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। প্রায় দু-মাস পর সামনে এল ‘মিঠাই’এর প্রোমো। আর সেই প্রোমো যে ধামেকাদার হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে। গল্পে অনুরাধা (বিদীপ্তা চক্রবর্তী)-র এন্ট্রি হওয়ার পর থেকেই দর্শকরা আন্দাজ করেছিল ভবিষ্যতে মনোহরার পাকাপাকি সদস্য হতে চলেছে অনুরাধা। সমরেশ-অনুরাধার মধ্যেকার কেমিস্ট্রি নজর এড়ায়নি কারুর। এবার জল্পনা সত্যি করে বিয়ে হয়ে গেল সিদ্ধার্থের বাবার! শাশুড়ি পেল মিঠাই আর মা পেল সিদ্ধার্থ।
দাদাইয়ের বান্ধবী ললিতার মেয়ে অনুরাধা। নিজের মায়ের স্থান কাউকে দিতে রাজি নয় সিদ্ধার্থ যদিও মিঠাই ইতিমধ্যেই উচ্ছেবাবুকে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রত্যেকের জীবনেই একজন সঙ্গী দরকার। সমরেশের একাকীত্ব দূর করতে পারবে অনুরাধা, সেটা সহজেই বুঝে যাবে সিদ্ধার্থ। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে সকলেই হইহই করে এই বিয়েতে সামিল। উচ্ছেবাবুও হাসিমুখেই ধরা দিলেন।
প্রোমোতে দেখা গেল পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি পেপারে সই করছেন অনুরাধা এবং সমরেশ। দূরে সিদ্ধার্থ হাসি মুখে তাকিয়ে দেখছে, মিঠাই তো খুব খুশি নতুন শাশুড়ি মা পেয়ে। চোখের কাজল দিয়ে শাশুড়ি মা-কে টিকা পরিয়ে দিল সে যাতে নজর না লাগে কারুর। অনুরাধার হাত ধরেই বাবা-ছেলের সম্পর্কে বদল আসবে আশাবাদী মিঠাই ভক্তরা।

তবে নিন্দুকরা অনেকেই সমালোচনা শুরু করেছে এই প্রোমোর। এই বয়সে বিয়ে করবার কী দরকার? মিঠাই কেন শ্বশুরের বিয়ে দিতে গেল? সবেতেই বাড়াবাড়ি তুফানমেলের, এই জাতীয় মন্তব্যও চোখে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও মিঠাই ভক্তরা মনে করছে একদম ঠিক কাজ করেছে মিঠাই। শ্বশুরের একাকীত্বের কষ্টটা ওর নজরে এসেছে। স্ত্রীকে ভালো না রাখতে পারার কষ্ট আজও কুড়ে কুড়ে খায় সমরেশকে। ছেলের সঙ্গেও মধুর নয় তাঁর বন্ডিং, সে জায়গায় একজন সঙ্গী ডিজার্ব করে সে। তাই পারফেক্ট কাজ করেছে মিঠাইরানি।