হামেশাই আশেপাশে থাকা লোকজন দাবি করেন, মাতৃত্ব পূর্ণতা দেয় নারীকে? সত্যিই কি তাই? ঔরসজাত সন্তান না থাকলে কি, সত্যিই জীবন অপূর্ণ থেকে যায়? এই বিতর্ক চিরকালীন। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মন্তব্য। তবে, আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা প্রমাণ করেছেন, গর্ভে না ধরলেও, মা হওয়া সম্ভব। যার মধ্যে অন্যতম নাম হল অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেন।
মা না হতে পারা নিয়ে কী বললেন মালবিকা?
‘ফাগুন বউ’, ‘শ্রীময়ী’, ‘কোড়া পাখি’, ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি’-র মতো ধারাবাহিকে দেখা মিলেছে মালবিকার। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন ‘চিরসখা’-তে। সম্প্রতি ‘নোয়া’র আড্ডায় জীবনের এই দিক সামনে আনলেন মালবিকা। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘পড়শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি নাচ শিখেছি। প্রথম শিক্ষা আমার কত্থক। ফার্স্ট হয়েছিলাম। সেই ডিগ্রি আমার আছে। কিন্তু অভিনয়টা ভিতর থেকে আসত না। লীনা দি (লীনা গঙ্গোপাধ্যায়)র কাছে আসা। বিভিন্ন ক্যারেক্টারে আমাকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। মানুষের মনের কথা কী করে ওঁর লেখনীতে বেরিয়ে আসে আমি জানি না। যখন ফাগুন বউ করি, সেখানে দেখানো হয় আমি বায়োলজিক্যালি মা হতে পারিনি। কিন্তু আমার এত ছাত্রছাত্রী আছে, সবাই আমাকে এতটা ভালোবাসা দিয়েছে যে, মাতৃত্বের যে অসফলতা আছে আমি তা একেবারে ফিল করি না…’
মলবিকার স্বামী ও সংসার
নিজের চেয়ে ১০ বছরের বড় পেশায় সাংবাদিক সুমিত সেন-কে বিয়ে করেছিলেন মালবিকা। সুখে ভরা ছিল দাম্পত্য। স্ত্রীকে আদর-যত্নে রাখতেন সুমিত খুবই। যদিও বর্তমানে তিনি না ফেরার দেশে। মালবিকার কোলে মাথা রেখেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। নিঃসন্তান মালবিকা। মা ডাকটা শোনেননি তিনি। কিন্তু অভিনয় করতে এসে উপভোগ করেছেন মাতৃত্ব। কখনও হয়ে উঠেছেন গুনগুনের মা (খড়কুটো), কখনও খিলখিলের মা (জল থৈ থৈ ভলোবাসা) কখনও বা রাধিকা-অঙ্কিতার মা (একা দোক্কা)। এছাড়া নাচের ক্লাসে আসা ছেলে-মেয়েরা তো আছেই।
মাসকয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে মালবিকা বলেছিলেন, ‘সন্তানের জন্ম দিয়ে বায়োলজিক্যাল মা হতে পারিনি তো কী হয়েছে, আমার বাবা-মাই এখন আমার কাছে সন্তানের মতো। বৃদ্ধ হয়ে গেলে মা-বাবারা সন্তানই তো হয়ে যায়। ’