প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে শনিবার ইনস্টাগ্রামে তাঁকে স্মরণ করলেন তাঁর বোন শ্বেতা সিং কীর্তি। তিনি একটি আবেগময় ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন এবং তার ভক্তদের 'ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস না হারাতে' এবং 'তিনি কী দাঁড়িয়েছিলেন তা মনে রাখতে' একটি দীর্ঘ নোট লিখেছেন। সদ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া সিবিআই মামলা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
ভিডিয়োতে সুশান্তের বোন শ্বেতা জানিয়েছেন যে তিনি ২৮ দিন ধরে একটি রিট্রিটে ধ্যান করছিলেন এবং তিনি তাঁর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করার জন্য অনলাইনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আজ ভাইয়ের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী, ১৪ জুন ২০২০ তারিখে তাঁর মৃত্যুর পর অনেক কিছু ঘটে গেছে। এখন সিবিআই আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং আমরা এটি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছি। তবে আজ আমি যা বলতে চাই তা হ'ল যাই ঘটুক না কেন, ভেঙে পড়বেন না এবং ঈশ্বর বা মঙ্গলের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। সবসময় মনে রাখবেন আমাদের সুশান্ত কীসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন... পবিত্রতা, জীবন ও শিক্ষার প্রতি অদম্য উৎসাহ, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হৃদয় যা সবাইকে সমান আচরণ করা এবং দানশীল কাজে বিশ্বাসী।
তিনি আরও লিখেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে তার ভাই 'কোথাও যায়নি' এবং তিনি সবার মধ্যে আছেন। তিনি ভক্তদের নেতিবাচকতা ছড়ানোর জন্য তার নাম ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, ‘কোনও নেতিবাচক অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কখনও ভাইয়ের নাম ব্যবহার করবেন না ... তিনি এটা পছন্দ করবেন না। তিনি এর পক্ষে দাঁড়াননি। দেখুন কত মানুষের হৃদয় ও মনকে তিনি স্পর্শ করেছেন, প্রভাবিত করেছেন। তার উত্তরাধিকার অব্যাহত থাকুক... আপনি জ্বলন্ত মোমবাতি যে তার উত্তরাধিকার অব্যাহত অন্যান্য মোমবাতি আলোকিত হন। যে কোনও মহান ব্যক্তির উত্তরাধিকার সর্বদা তাঁর মৃত্যুর পরে বৃদ্ধি পায়..... কেন এমন হয় জানেন? কারণ তাদের ব্যক্তিত্বের চৌম্বকত্ব বীজ বপন করে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য মনকে প্রভাবিত করে।’
২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর তখন ৩৪ বছর বয়স এবং তার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে 'ফাঁসিতে ঝুলানোর কারণে শ্বাসরোধ' দেখানো হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর এক মাস পর রিয়া চক্রবর্তী এবং আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে তাঁর পরিবার। ওই বছরের অগস্টে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোও অর্থ পাচার এবং মাদক সংযোগের অভিযোগে মামলাটি খতিয়ে দেখেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে সিবিআই ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করে জানায়, কোনও প্রমাণ মেলেনি।