মাসখানেক আগেই ঘোরতর চর্চায় এসেছিলেন কবীর সুমন। এক সাক্ষাৎকারের সময় ৭৪ বছর বয়সেও এত এনার্জির রহস্য কী প্রশ্নে ‘মুক্তকাম’-এর কথা বলেন তিনি। যা নিয়ে কিছু তারকাও মন্তব্য করে বসেছিলেন বর্ষীয়ান গায়কের বিপক্ষে। সঙ্গে নেট-নাগরিকদের কটু মন্তব্য, ঠাট্টা-ইয়ার্কি তো ছিলই। সম্প্রতি ফের একবার তা নিয়ে কথা বললেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন, ‘যদি বলতাম, সকালে উঠে আমি জপ করি, তারপর ভগবান-আল্লার নাম করি, তাহলে কি সবাই খুশি হত?’
মুক্তকামের প্রসঙ্গ কীভাবে উঠল তা নিয়েও কথা বললেন সুমন। জানালেন যেদিন তিনি সাক্ষাৎকার দেন ‘প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা টানা রেকর্ডিং’ করেছিলেন। এরপর সাংবাদিক-বন্ধুর প্রশ্ন আসে ৭৫ বছর বয়সেও কীভাবে এত ফিট থাকেন? যাতে খানিক মস্করা করেই বলেছিলেন, ‘আমি মুক্তকামে বিশ্বাস করি’।
কবীর সুমন আজতক বাংলাকে বলেন, ‘যাকে মুক্তকামের কথা বলেছিলাম তাঁর বোঝা উচিত ছিল এই কথাটা মজা করেই বলেছি। যে লোকটা ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একসময় মরতে বসেছিল, সে কীভাবে এই কথা সিরিয়াসলি বলতে পারে। আর এটা যখন প্রচার হল তখন তো হইচই পরে গেল। যেন বিরাট কিছু হয়ে গেছে। কেউ যদি মুক্তকামে বিশ্বাস করে তাহলে সমস্যা কোথায়?’
যেভাবে নেটপাড়ায় তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে সে প্রসঙ্গে সুমনের উত্তর, ‘ফেসবুক করে কারা? গ্রামের কুমোর-চাষি-জেলেরা তো করে না। করে স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করা ছাত্র-ছাত্রীরা। মানে তথাকথিত সুশীল সমাজ। তারা কতটা কদর্য হতে পারে যে এটা নিয়ে আলোচনা করে। সেদিন যদি আমি বলতাম যে আমি রোজ সকালে উঠে ঠাকুরের নাম জপ করি, পুজো করি তারপর মুগুর ভাজি, সাত্ত্বিক আহারে বিশ্বাস করি, তাহলে কি সবাই খুশি হত?’
কী বলেছিলেন কবীর সুমন মুক্তকাম প্রসঙ্গে?
কবীর সুমনকে তাঁর ‘অফুরান এনার্জির রহস্য’ নিয়ে প্রশ্ন করলে জবাব এসেছিল, ‘কাম! মুক্ত কাম! যেখানে অশ্লীলতাই সব। বয়স হয়েছে। এখন রাতে ভাল ঘুম হয় না। কিন্তু আমি বিছানায় এখনও চূড়ান্ত ভাবে সক্ষম। নারীরা আমাকে সমৃদ্ধ করেছেন। নতুন ধারণা আবিষ্কার করে প্রেম করাতেই আমার এনার্জি। আঁতলামি নয়, প্রেম করতে হবে শরীর দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে এবং সম্মান দিয়ে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )