সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রায়শই বিতর্কে জড়ান জয়া বচ্চন। রেগে যাওয়া জয়ার ভিডিয়োও ভাইরালও হয় প্রচুর সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে এবার যেন খানিকটা ভোল বদল। বৃহস্পতিবার মুম্বইতে আবু জানি এবং সন্দীপ খোসলার পার্টিতে যোগদানের সময় একেবারে খোশ মেজাজে ধরা দিলেন ‘জয়া আন্টি’। শুধু যে মন খুলে পাপারাজ্জিদের জন্য পোজ দিলেন তা নয়, সকল ফোটোগ্রাফারদের সঙ্গে কথা বলেন। সকলকে চেনার চেষ্টাও করেন মুখ দেখে দেখে। এমনকী একজন ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে পোজও দেন, বলতে শোনা যায় তিনি ছোট থেকে চেনেন তাঁকে। প্রবীণ অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ এদিন লাইম ইয়োলো সালোয়ার কুর্তা পরেছিলেন।
ইনস্টাগ্রামে একটি পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একে-অপরকে আলিঙ্গন করছেন জয়া এবং সন্দীপ খোসলা। সন্দীপ তখন জয়াকে 'অরিজিনাল' বলেও ডাকেন। জয়া ফটোগ্রাফারদের মুখ দেখে চেনার চেষ্টা করেন এবং অবশেষে একজনকে শনাক্ত করে বলে ওঠেন, ‘ওকে তো তখন থেকে চিনি যখন একেবারে বাচ্চা ছিল। এখন বয়স কত তোমার?’ এমনকী সেই ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি কাঁধে হাত দিয়ে। এরপর হাসিখুশি মুখেই পার্টিতে ঢুকে যান।
একজন ভক্ত ভিডিয়োতে মন্তব্য করেছেন, ‘তিনি আজ ভালো মেজাজে আছেন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘মিডিয়া ওয়ালো কা আচ্ছে দিন আজ আয়ে (মিডিয়ার ভালো দিন এসেছে আজ)।’ আরও একজন লিখলেন, ‘ও মা জয়া আন্টি হাসতেও পারে।’ চতুর্থ জনের কমেন্ট, ‘আজকে মনে হয় ঐশ্বর্য ম্যামের সঙ্গে ঝগড়া করেননি, তাই এত ভালো মুডে।’ আরও পড়ুন: ‘বেডরুমে চলে আসুন!’, পাপারাৎজিদের কেন ডাকলেন সইফ? আর কী বললেন
আরেকটা ভিডিয়োতে দেখা গেল জয়া দুই মহিলার সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন। তারপর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলছেন, ‘দেখো আমি কত হাসি’। এরপর এক ফোটোগ্রাফার তাঁকে ‘সুন্দর লাগছে’ প্রশংসা করলেও বেশ খুশিখুশি মুখেই তাকান। আরও পড়়ুন: ‘ওকে কলা দে বেশি করে’! প্রকাশ্য রাস্তায় গায়িকা ইমনকে কটূক্তি, হল থানা-পুলিশ
মাসকয়েক আগে নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দার পডকাস্টে এসে জয়াকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমার রাগের অভিব্যক্তি জড়ো করে ইউটিউবে দিয়ে কেউ যদি টাকা কামায় আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আপনি তাঁদের কাজ নিয়ে কথা বলুন আমি মানতে পারি। আপনি বলতেই পারেন ও একজন বাজে অভিনেত্রী, একজন বাজে সাংসদ। কিন্তু বসে আমার ব্যক্তিগত জীবন কাঁটাছেড়া করার আপনি কে! সবাই বলবে উনি খিটখিটে, রেগে যান! আরে আমি রেগে যাই কেন? কোথাও যাচ্ছি. আপানারা আমাকে আটকাতে শুরু করলেন, ছবি তুলতে শুরু করলেন। কেন আমার কি সাধারণ মানুষের মতো ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে কিছু নেই?’