তিনি বরাবরই স্পষ্ট বক্তা। প্রয়োজনে সরকারের সমালোচনা করতে দ্বিধা করেন না। যদিও আবার নিজের এই স্পষ্টবাদীতার কারণে জাভেদ আখতার প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কেন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলে না? এই প্রশ্নের উত্তরে জাভেদ আখতার বলেন, বড় শিল্পপতিরা কি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন?
কপিল সিব্বলের ইউটিউব চ্যানেলে একটি পডকাস্টে অংশ হয়েছিলেন জাভেদ আখতার। কপিল সিব্বল জাভেদ আখতারকে প্রশ্ন করেন, মেরিল স্ট্রিপ যেমন আমেরিকায় তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন আজকাল আর কেউ আওয়াজ তোলেন না, এখানে সবাই চুপ কেন? এটা কি আগে ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে জাভেদ আখতার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনি কি সত্যিই এটা জানতে চান? আপনি জানেন না কেন এমনটা হয়’?
কী উত্তর দেন জাভেদ আখতার?
এ প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল জানান, তিনি একেবারেই জানেন না। এরপর জাভেদ আখতার বলেন, 'এটা কিছুই না, ওরা তো খুব বিখ্যাত, কিন্তু ওদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু তেমন কিছুই না। একজন মধ্যবিত্ত শিল্পপতি পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের পকেটস্থ করতে পারেন। বড় লোকেদের মধ্যে কে কথা বলে? যাদের টাকা আছে তাঁদের কেউ কি আছেন যিনি কথা বলছেন? কেউ নয়।'
ঠিক এই কথার পরই কপিল সিব্বল বলেন, আপনি কি বলতে যাচ্ছেন, সেখানে ইডি পৌঁছে যাবে? জবাবে জাভেদ আখতার বলেন, 'দেখুন, এমনই কিছু একটা হবে। মেরিল স্ট্রিপ (মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে) একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তার উপর কোনও আয়কর হানা হয়নি। সেখানে এই নিরাপত্তাহীনতা আসলেই আছে কি! আমি বিতর্কে যেতে চাই না। কিন্তু এটাই আসল ধারণা।
জাভেদ আখতার বলেন, ‘পারসেপশন একটাই, কিন্তু এটাই উপলব্ধি যে, আতঙ্ক যদি হৃদয়ে থাকে, তাহলে লোকটা ভয় পাবে যে ভাই ওই ইডি আসবে, সিবিআই আসবে, আয়কর আসবে আর আমাদের ফাইল খুলে যাবে। এগুলো সবই সমস্যা। এই সমস্যাগুলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বাইরের।'