সিনেমার ইতিহাসে বারবার ফিরে আসে তাঁর নাম। কিন্তু জীবদ্দশায় তাঁর প্রাপ্তি ছিল নিত্যদিন বেঁচে থাকার লড়াই । সেই লড়াইয়ে ভেঙে গিয়েছিল একসময়ে স্বপ্ন নিয়ে শুরু দাম্পত্যও। আক্ষরিক অর্থেই তিনি ছিলেন 'মেঘে ঢাকা তারা'। তিনি ঋত্বিক ঘটক। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে হঠাৎ করে আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। সৌজন্য তাঁর ও সুরমা দেবীর বিয়ের চিঠির ছবি।
চিঠিতে জ্বলজ্বল করছে তাঁদের বিয়ের তারিখ । ১৯৫৫ সালের ৮ মে রবিবার অর্থাৎ ২৪ বৈশাখের সন্ধেয় চার হাত এক হয়েছিল ঋত্বিক ঘটক ও সুরমার। সে দিন দু’জনের কারও জানা ছিল না জীবনযুদ্ধ কোন বাঁকে নিয়ে যাবে তাঁদের সম্পর্ককে। একজনের চোখে ছিল গল্প বলার স্বপ্ন আরেকজনের স্বপ্ন সেই গল্প তৈরির সঙ্গিনী হয়ে ওঠা।

ঋত্বিকবাবুর যোগ্য সঙ্গিনী হয়ে উঠেছিলেন সুরমা দেবী, স্বীকৃতি পেয়েছিল ঋত্বিকবাবুর শিল্পসত্ত্বাও কিন্তু দাম্পত্যে সুখ এল কই ! আজ দু’জনের কেউই বর্তমান নেই, কিন্তু রয়ে গিয়েছে তাঁদের শুরুর দিনের স্মৃতি। রবিবার সকালে সায়নী চক্রবর্তী ঘটক ‘পুরনো কলকাতার গল্প’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে বিয়ের চিঠির ছবিটি শেয়ার করেন। সায়নী সম্পর্কে ঋত্বিক ঘটকের নাতনি।