পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে ফেডারেশনের বিরোধ, আর এই ঝামেলার জেরে দড়ি টানাটানির খেলা এতো বহুদিনের। মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে পরিচালক-ফেডারেশনের ঝামেলার ঘটনা। আর তাতেই মাধেমধ্যেই টলিপাড়ায় তৈরি হয় অচলাবস্থা। এমনতি এর আগে এই পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়েছিল যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এই ঝামেলায় কখনও পরিচালকরা ফেডারেশনের দিকে আঙুল তুলেছেন, কখনও আবার ফেডারেশন পরিচালকের উপর দোষ দিয়েছেন। এমনকি এই লড়াই আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি খবর মিলেছে, আগামী ১ মে, শ্রমিক দিবসে ফেডারেশনের তরফে একটি মিটিং করা হবে। যে মেগা মিটিং-এ থাকার কথা রয়েছে ফেডারেশনের সমস্ত কলাকুশলীদের। জানা যাচ্ছে, নিজেদের নানান অধিকার আদায় ও কলাকুশলীদের কাজের অধিকার রক্ষার স্বার্থেই এই মিটিং। অন্দরের খবর, সমস্ত ষড়যন্ত্র, সমস্ত কুৎসার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছেন কলাকুশলীরা। আদালত কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে চাইছে, ফেডারেশনের নজর সেদিকেই থাকবে বলে খবর।
এদিকে অতি সম্প্রতি পরিচালক সুদেষ্ণা রায় দাবি করেছেন তিনি ফেডারেশনের রোষের মুখে পড়েছেন। ১৬ এপ্রিল বুধবার উত্তর কলকাতার একটি পুরনো বাড়ি থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। সামনে আনেন বেশকিছু অভিযোগ।
আরও পড়ুন-গৌরী খানের রেস্তোরাঁয় ‘নকল পনির খাওয়ানো হচ্ছে'! ইউটিউবারের দাবিতে কী জানাল তোরি?
সেই লাইভে সুদেষ্ণা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কাজ করা প্রোডাকশন ম্যানেজার শুটিং শুরু হওয়ার মাত্র ছ’দিন আগে কোনও কারণ না জানিয়েই আচমকা কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। প্রোডাকশন ম্যানেজার যে গিল্ডের সদস্য, সেই গিল্ড ও ফেডারেশনকে এরপর গোটা ব্যাপারটা জানান সুদেষ্ণা। তবে তাতে কোনো সমাধানসূত্র তো মেলেইনি, সঙ্গে একে-একে ছবির সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট বাকি টেকনিশিয়ানরাও কাজ থেকে সরে দাঁড়ান। বুধবার থেকে পরিচালক অভিজিত্ গুহ আর সুদেষ্ণা রায়ের ‘স্বপ্ন হলেও সত্যি’ বাংলা ছবির শুটিং শুরুর কথা ছিল।
প্রসঙ্গত,কিছুদিন আগেই ফেডারেশনের অকারণ হস্তক্ষেপ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্য। আর এই মামলায় বিদুলার পাশে দাঁড়ান ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সুদেষ্ণা রায়রা। সম্মিলিত ভাবে আদালতে দায়র হয় মামলা। দুটি শুনানি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১৯ মে। আপাতত শুনানিতে জানানো হয়েছে, পরিচালকদের কাজে ফেডারেশন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।