আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বারবার নিয়ম ভেঙেছেন, শুনানির দিন হাজির হননি আদালতে। এবার রামগোপাল বর্মাকে ৩ মাসের সাজা শোনাল আদালত।
রামগোপাল বর্মার জেল
চেক বাউন্স মামলায় অতি সম্প্রতি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা। আর এবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করল মুম্বইয়ের আন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সাজা হিসাবে পরিচালককে ৩ মাসে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মামলায় জামিনও পাবেন না রামগোপাল। কারণ, আদালত পরিচালকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে। তবে কি এবার সত্যিই জেলে যেতে হবে পরিচালককে?
জেল হাজত থেকে বাঁচার একটি উপায় অবশ্য আছে। চেক বাউন্স মামলায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে অভিযোগকারীকে ৩.৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরিচালক এই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে ৩ মাসের জেল খাটতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এদিকে গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার পরিচালককে আদালতে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে তিনি সেদিন আদালতে হাজির হননি। আর তাই আদালত অবমাননার জন্য পরিচালককে পরিচালকে ১৩৮ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত রামগোপাল বর্মার বিরুদ্ধে এই চেকবাউন্স মামলাটি ২০১৮ সালের। সেসময় ছবি তৈরির জন্য মহেশচন্দ্র মিশ্র 'শ্রী' নামক একটা সংস্থা তৈরি করেন। যেটি কিনা রামগোপাল বর্মার কোম্পানির ‘বর্মা কর্পোরেশন কোম্পানি’র সঙ্গে জুড়ে ছিল। সেসময় মহেশচন্দ্র মিশ্র নামে ওই ব্যক্তি পরিচালকের বিরুদ্ধে চেক বাউন্সের অভিযোগ আনেন। জানা গিয়েছিল পরিচালক আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। যেকারণে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে কোনও ছবিও তৈরি করেননি। তাঁর আগের ছবিগুলিও বক্স অফিসে বিশেষ ব্যবসা করতে পারেনি। যে কারণে নিজের অফিসও বিক্রি করে দিতে হয় রামগোপাল বর্মাকে।