ক্রিকেটার বর যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন ইউটিউবার কোরিওগ্রাফার ধনশ্রী বর্মা। দুদিন আগেই চাহালের আইনজীবী নীতিন কে গুপ্তা ডিভোর্সের আবেদনের খবর নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের খবরের মাঝেই মহাশিবরাত্রির শুভেচ্ছা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ধনশ্রী বর্মা।
ইনস্টাগ্রামে ভগবান শিবের একটি ছবি শেয়ার করে ধনশ্রী ক্যাপশনে লেখেন, ‘যখন আপনি ভাববেন সব শেষ, তখনই তিনি শুরু করেন।’ ধনশ্রী সকলকে মহাশিবরাত্রির শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘শুভ মহাশিবরাত্রি, ভগবান শিব আপনাকে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তির সঙ্গে তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করুন।’

কোরিওগ্রাফার ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহালের বিচ্ছেদের গুঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তাঁদের নিয়ে চর্চা অব্যাহত। জানা যাচ্ছে ধনশ্রী ও যুজবেন্দ্র দুজনেই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য সমঝোতার পথে হাঁটছেন। চাহালের আইনজীবী নীতিন কে গুপ্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা হয়েছে এবং মামলাটি মুম্বাইয়ের বান্দ্রার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছেন।
আইনজীবী নীতিন কে গুপ্তা বলেন, ‘মিঃ চাহাল মিসেস বর্মার সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ জন্য একটা সমঝোতায় পৌঁছেছেন। পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য একটি আবেদন বান্দ্রায় পারিবারিক আদালতে জমাপড়েছে। বিষয়টি এই মুহূর্তে আদালতে বিচারাধীন’।
আইনজীবী জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতের বিবেচনাধীন। আর তাই এবিষয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করাও অবৈধ। চাহাল এবং তাঁর পরিবারও তাই সংবাদমাধ্যমের কোনও খবরে কোনও মন্তব্য করবেন না। সবাইকে জল্পনা থেকে বিরত থাকতেও বলেছেন এই ক্রিকেটার।
ধনশ্রী ভার্মা এবং যুজবেন্দ্র চাহাল
ধনশ্রী এবং যুজবেন্দ্র সম্পর্কে বিবাহবিচ্ছেদের গুজব শুরু হয়েছিল যখন এই জুটি ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করেছিলেন। এছাড়াও, যুজবেন্দ্র একটি ক্রিপ্টিক ইনস্টাগ্রাম স্টোরি শেয়ার করার পরে ধনশ্রী তাঁর ইনস্টাগ্রাম নাম থেকে ‘চাহাল’ পদবী সরিয়ে দেন, লেখেন 'নতুন জীবন লোডিং'। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে ধনশ্রীর সঙ্গে সব ছবিই ডিলিট করে দেন চাহাল।
এদিকে এরই মাঝে যুজবেন্দ্র চাহালের কাছ থেকে ধনশ্রী ৬০ কোটি টাকা খোরপোশের দাবি করেছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যার পর তীব্র ট্রোলের মুখেও পড়েন ধনশ্রী। যদিও এই খবর ধনশ্রী বর্মার পরিবারের তরফে অস্বীকার করা হয়। জানানো হয়, খোরপোশের পরিসংখ্যান সম্পর্কে যে ভিত্তিহীন খবর ছড়াচ্ছে তাতে আমরা ক্ষুব্ধ। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ ধরনের কোনো টাকাই চাওয়া হয়নি, দাবি করা হয়নি বা প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি।