শুভ্রনীলের বাড়িতে পৌঁছোন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা সেখানে শঙ্খধ্বনি দিয়ে বরণ করে অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁদের। যা দেখে অভিভূত অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা দুজনেই। দুই নাতি-নাতনি অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলাকে পেয়ে ভীষণ খুশি ছিলেন শুভ্রনীলের ঠাকুমা। গালে হাত দিয়ে খেলেন চুমু। ঐন্দ্রিলাকে আগে আদর করায় বায়না জুড়ে দেন অঙ্কুশও।
দুর্গাপুরে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা
কথা রাখলেন অঙ্কুশ। কথা ছিল, 'ঠাকুমার আদর' প্রতিযোগিতা যাঁরা জিতবেন, তাঁদের বাড়িতে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা ও তাঁর টিমের সদস্যরা যাবেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। যেমন কথা তেমনি কাজ। রবিবার ‘ঠাকুমার আদর’ জয়ী প্রতিযোগী শুভ্রনীলের ঠাকুমার ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দুর্গাপুর পৌঁছে গিয়েছিলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা।
গাড়িতে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে বেশিরভাগ সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করতে দেখা গেল অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলাকে। কলকাতা থেকে বর্তমান হয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় শুভ্রনীলের বাড়িতে পৌঁছোন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা সেখানে শঙ্খধ্বনি দিয়ে বরণ করে অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁদের। যা দেখে অভিভূত অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা দুজনেই। এরপর শুভ্রনীলের বাড়িতে পৌঁছে চলে দেদার আড্ডা। দুই নাতি-নাতনি অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলাকে পেয়ে ভীষণ খুশি ছিলেন শুভ্রনীলের ঠাকুমা। গালে হাত দিয়ে খেলেন চুমু। উনি ঐন্দ্রিলাকে আগে আদর করায় বায়না জুড়ে দেন অঙ্কুশও।
এখানেই শেষ নয়, শুভ্রনীলের বাড়িতে গিয়ে জমিয়ে পেটপুজো করেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। জানা গেল বাড়িতে অঙ্কু-ঐন্দ্রিলা আসবেন শুনে বাড়ির মহিলাদের রাতের ঘুম উড়েছে। এরপর ভোর ৪টে থেকে শুরু হয় রান্নাবাান্না। ফ্রায়েড রাইস, চাটনি, মটন, স্যালাড এক্কেবারে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে দেওয়া হয় অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলাকে। অঙ্কুশও বাধ্য ছেলের মতো, খুশি হয়ে খেলেন সমস্ত পদ। প্রশংসা করে ঐন্দ্রিলা বললেন, খুব ভালো রান্না হয়েছে, তেল ঝাল নেই, খেয়ে শরীরে কোনও অস্বস্তিও হচ্ছে না।' সেসময় পরিবারের একজন প্রশংসা করে বলেন, অঙ্কুশ বলেই সমস্ত খাবার খেয়েছেন, অন্য কেউ হলে ছুঁয়েও দেখতেন না। মজা করে অঙ্কুশ বলেন, ‘এটাকে অন্যভাবে নেবেন না, উনি কিন্তু এটা বলছেন না অঙ্কুশ হ্যাংলা, উনি আসলে বলতে চাইছেন অঙ্কুশ ডাউন টু আর্থ।’ ঐন্দ্রিলা জানান এদিন দুর্গাপুর পৌঁছাতে রাস্তায় অনেকটা সময় লেগেছে। প্রায় ৬ ঘণ্টার যাত্রাপথ।