জি বাংলায় সারেগামাপা-র পথ চলা শেষ হল বলে। দিনকয়েক পরেই গ্র্যান্ড ফিনালে এপিসোডের সম্প্রচার। যদিও শ্যুটিং হয়ে গিয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। ফাইনালে পৌঁছেছে ১০জন। যার মধ্যে অন্যতম হল অনীক জানা। কোলাঘাটের এই ৭ বছরের খুদের গানে বরাবরই বাকরুদ্ধ হন বিচারকরা। আর এবারে তো অনীকের মিমিক্রি করার ক্ষমতা দেখে হতবাক সকলে।
আবির চট্টোপাধ্যায়ের অনুরোধেই বিচারকদের নকল করে দেখায় অনীক। শান্তনু মৈত্র থেকে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, জাভেদ, রাঘব সবার কথা বলা শুধু নকল করে না, এমনকী গানের এই দিগ্গজদের গায়িকীর স্টাইলও হুবহু ফুটিয়ে তোলে। যা দেখে হাততালি থামাতে পারেন না ইমন-জোজো-অন্তরা-রা।
আরও পড়ুন: ড্যাবড্যাব করে দেখছে যিশুকে, পাশ থেকে উঁকি সৌরভের, অভিনেতার কোলে এই বাচ্চাটি কে?
এমনকী, অনীক সারেগামাপা-র পরিচালক অভিজিৎ সেন-কেও নকল করে দেখায়। ভিডিয়ো জিতে নেয় নেটপাড়ার মন। একজন কমেন্ট করলেন, ‘পাকা বাচ্চা। কিন্তু ভীষণ মিষ্টি।’ আরেকজন লেখেন, ‘ওকে দেখলেই মনে হয় আদর করি। এত ভালো গান গায় বাচ্চাটা…’। দেখুন সেই ভিডিয়ো-
মেদিনীপুরের কোলাঘাটের ছেলে হল অনীক। বয়স মাত্র ৭। তবে তার থেকে দ্বিগুণ বয়সের প্রতিযোগীদের পাল্লা দিয়েছে সে গোটা সিজনে। শুধু তাই নয়, বিচারকদেরও নয়নের মণি। একাধিকবার গোল্ডেন গিটারও জিতেছে।
বাড়িতে ছোট থেকেই অনীক পেয়েছে গানের তালিম। ‘ওর গানের বিশেষ ট্যালেন্ট আছে। সেভাবে কোনও শিক্ষক নেই। আমি আর আমার স্ত্রী-ই অনীককে গান শেখাই, প্র্যাকটিস করাই। ওর বিশেষ ট্যালেন্টের জন্যই আজ ও সারেগামাপা-তে যেতে পেরেছে।’, বলতে শোনা গিয়েছিল অনীকের বাবা অসিত জানাকে।
মায়ের কাছেই আসলে এই খুদের সংগীতের হাতেখড়ি। ছেলেকে নিয়ে সরস্বতী জানা জানিয়েছিলেন, ‘৩ বছর থেকেই ওর মধ্যে গানবাজনার প্রতিভা আমি দেখতে পাই। আমি যখন রেওয়াজ করতাম, বা গান করতাম, ও শুনে শুনে সেই গানটা তুলে নিত। আমিই ওকে রেওয়াজ কীভাবে করতে হবে ওকে দেখিয়ে দি। ও কোনও টিচারের কাছে শেখে না, ওকে আমরা বাড়িতেই শেখাই।’