বাংলাদেশে গিয়ে হিন্দু মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই নিয়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্যও রেখেছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধেই ধর্মীয় প্ররোচনার অভিযোগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বাম—কংগ্রেস, আইএফএস জোট। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ তুলেছে সংযুক্ত মোর্চা।মুজিব শতবর্ষ ও বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে সম্প্রতি পড়শি দেশে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ওই সফরে যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দেন তিনি। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গী করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া মহাতীর্থেও যান মোদী। এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সংযুক্ত মোর্চা। চিঠিতে তারা অভিযোগ জানিয়েছে, বিধি ভঙ্গ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গী করে নিয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশে। হিন্দু মন্দিরে পুজো দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একটি সম্প্রদায়ের আরাধনাস্থলে গিয়ে প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভায় সেই প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীপক্ষকে কটাক্ষ করেন মোদি। সেইকারণে ধর্মীয় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে সংযুক্ত মোর্চা।তাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার জয়নগর ও উলুবেড়িয়ায় সভা করেন মোদী। সংযুক্ত মোর্চার বক্তব্য, ওই দু’টি সভায় ধর্মীয় প্ররোচনা করেছেন মোদী। এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে তারা। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জয় শ্রী রামে আপত্তি দিদির। দুর্গাপুজোর বিসর্জনেও আপত্তি ওঁর। তিলক, গেরুয়া পোশাকও পছন্দ করেন না। দিদির লোকেরা, টিকি থাকা মানুষদের রাক্ষস বলছেন। আমাকে গালি দিন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আস্থা, রামকৃষ্ণ পরমহংস ও চৈতন্য মহাপ্রভুর সংস্কারকে গালি দিতে দেব না।’বাংলাদেশ সফরের উল্লেখ করে মোদী মন্তব্য করেন, ‘একান্ন শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম যশোরেশ্বরী মায়ের পুজো করেছি। এতেও দিদির সমস্যা। ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের পুণ্যভূমিতে গিয়ে আশীর্বাদ চেয়েছি। তাতেও ক্ষুব্ধ হয়েছেন উনি। মা কালীর মন্দিরে যাওয়া ভুল নাকি? হরিজন ঠাকুরের পুজো করা কি ভুল? দিদির মতো মরসুমি পুণ্যার্থী নই। নিজেদের আস্থায় গর্বিত আমরা।’এদিন নির্বাচন কমিশনে মোদী এই বক্তব্যকে নিয়েই চিঠি দিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। এবিষয়ে সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভোটের দিন সভা করছেন। বাংলাদেশে শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভোটারদের প্রভাবিত করছেন তিনি।’