গোটা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও করোনার সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। এরইমধ্যে রাজ্যজুড়ে চলছে ৮ দফায় ভোট গ্রহণ।এই পরিস্থিতিতে এখনও এই রাজ্যে ভোটপর্ব চালিয়ে গেলে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাই এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।এমনই দাবি তুলে নির্বাচন কমিশন অফিসের কাছে পিপিই কিট পড়ে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানাল একটি অরাজনৈতিক দল। পিপিই কিট পড়ে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানালেন ওই রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।তাঁদের বক্তব্য, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগামী চার সপ্তাহ খুবই উদ্বেগজনক। রাজ্যে ক্রমশই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সম্প্রতি রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সারা বাংলা জুড়ে ভোটকে ঘিরে কার্যত উৎসব চলছে। যেখানে সাধারণ মানুষ নিজেদের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে, দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসবে যেখানে রাশ টানা হয়েছে, সেখানে ভোটকে ঘিরে এত উন্মাদনার মানে কী? কেনই বা এখানে মিটিং, মিছিল, সভা, সমাবেশ করা হচ্ছে।এসব বন্ধ করা উচিত।এখনই ভোট বন্ধ করা হোক। বিকল্প উপায় বের করা হোক। নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে চিঠিও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, লকডাউনের পরিবর্তে রাত ন'টা বা ১০ টা থেকে ‘করোনাভাইরাস কার্ফু’ জারি করা যেতে পারে। তা চলতে পারে ভোর পাঁচটা বা সকাল ছ'টা পর্যন্ত। মোদীর কথায়, ‘ছোটো ছোটো কনটেন্টমেন্ট জোনের উপর আমাদের জোর দিতে হবে। যেখানে যেখানে নাইট কার্ফু চলছে, সেখানে নাম পরিবর্তন করে করোনাভাইরাস কার্ফু নাম রাখা হোক, যাতে করোনার প্রতি সচেতনতা গড়ে ওঠে। তাতে বাকি জীবনের উপর প্রভাব পড়বে। রাত্রিকালীন কার্ফু নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলবেন। কিন্তু রাত্রিকালীন কার্ফুর ফলে অন্যান্য সময়ের কাজে প্রভাব পড়ে না। এই নামেই চালু করা হোক। একদিক থেকে করোনাভাইরাস কার্ফু মানুষকে শিক্ষিত করার কাজে লাগবে।’