একদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, কোলাঘাটে তাঁর ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এর ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই এবার খড়গপুরে পৌঁছে ঘাটাল পুলিশ হানা দিল বিজেপি প্রার্থী তথা খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়কের বাড়িতে। অভিনেতা থেকে বিজেপি নেতা হয়ে ওঠা হিরণ আজ সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিযোগ করেন, তাঁর আপ্তসহায়ক তমঘ্ন দে-র খড়গপুরের বাড়িতে রাত তিনটের সময় হানা দিয়েছে ঘাটাল পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছে যান হিরণ। এরপর সকালের দিকে ঘাটালবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। (আরও পড়ুন: দীর্ঘ কয়েক বছরের মামলা শেষে মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের)
আরও পড়ুন: 'আসন সংখ্যা নেমে...', রামকৃষ্ণ মিশন ইস্যুতে মমতার 'পতন' দেখছেন দিলীপ
আরও পড়ুন: এখনও শেষ হয়নি ভোট, এর মাঝেই আরও একদফা ডিএ বাড়ল! নির্দেশ জারি অর্থ দফতরের
রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়গপুরের তাল বাগিচায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক তমঘ্ন দে-র বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। এই আবহে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, কী কারণে পুলিশ আচমকা এই অভিযান করছে তা জানায়নি। কোনও নথি বা ওয়ারান্ট ছাড়াই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ভিডিয়ো বার্তায় হিরণকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'রাত ৩টের সময় ঘাটাল থানার পুলিশ আমার সেক্রেটারি তমঘ্ন দে-র বাড়িতে এসেছে।' এরপর তিনি পরপর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি পুলিশের গাড়ি দেখান। এরপর হিরণকে বলতে শোনা যায়, 'রাত ৩টে থেকে চলছে। তাঁরা কি এখানে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ধরতে এসেছে?' (আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি সিলে 'ডিকে' ছাপ, পুলিশের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: 'এটা চাকরিজীবীদের অধিকার', মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল আদালত
আরও পড়ুন: 'জানি না' বলেও রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকে 'পারিবারিক বিষয়' আখ্যা মমতার!
এরপর একটি পুলিশের গাড়ির সামনে গিয়ে হিরণ দেখান, কয়েকজন পুলিশকর্মী শুয়ে আছেন। বিজেপি নেতা বলেন, 'এই সব পুলিশকর্মীরা ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছেন। নির্দোষ মানুষদের হেনস্থা করতে এসেছে এখানে পুলিশ। কী কেস, সেটা পুলিশ এখনও বলছে না। কী নিয়ে তদন্ত, সেটা তো বলুন। পুলিশ সেটা জানাতে অস্বীকার করছে। তমঘ্নর মা অসুস্থ। হৃদরোগী। মা কান্নাকাটি করছেন। তাঁর মায়ের যদি কিছু হয়ে যায়, পুলিশ দায়ী থাকবে তো? এখানে গোটা পাড়ায় পুলিশ। কী না হিরণের সেক্রেটারি হওয়া তাঁর অপরাধ।' সেই ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে ট্যাগ করে হিরণ লেখেন, 'এটাই বাংলার গণতন্ত্র।' ভিডিয়োতে তিনি নাম না করে দেবের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন।