তীব্র গরমের সময় যেমন দেখা গেল লোডশেডিং তেমন দেখা গেল লো–ভোল্টেজ। এই কাণ্ডে বহু ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র খারাপও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অনেকের এসি মেশিন খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আবার কারও টিভি, ফ্রিজ খারাপ হওয়ার খবর মিলেছে। ৪২ থেকে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা চলাকালীন লো–ভোল্টেজের সম্মুখীন হতে হয়েছে মানুষজনকে। কারণ এই প্রচণ্ড গরমে এসি ব্যবহার বেড়েছিল মারাত্মক হারে। তাই বিদ্যুতের চাহিদাও ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। রাজ্যের নানা প্রান্তের সঙ্গে মধ্যমগ্রাম শহরেও এমন পরিস্থিতি ঘটে। লো–ভোল্টেজের সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেক সময়ই চাপ নিতে না পেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা হয়।
এই আবহে এবার বৃষ্টির পরিবেশ শেষ হয়ে আবার গরম পড়তে চলেছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভ চরমে উঠতে পারে। আর এটা বুঝতে পেরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী থেকে অফিসাররা। এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো থেকে লোড শেয়ার করার কাজ চলছে। এমনকী অতিরিক্ত কর্মী নামিয়ে মধ্যমগ্রাম শহরে লো–ভোল্টেজের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রাখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বোতাম টিপলে আলো জ্বলছে বিজেপির কৃষ্ণনগরে, প্রিসাইডিং অফিসারকে সরাল নির্বাচন কমিশন
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকে আর হবে না। বরং গরম বাড়বে। মধ্যমগ্রামের শ্রীনগর, আব্দালপুর, হুমাইপুর, মেঠোপাড়া, বিধানপল্লি, বঙ্কিমপল্লি, সারদাপল্লি–সহ কয়েকটি এলাকায় লো–ভোল্টেজ দেখা দিয়েছিল। তখন অসহনীয় গরমে লোভোল্টেজ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সেটা আবার গরম বাড়লে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার গঙ্গানগরের ইউনিট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেন। মধ্যমগ্রাম শহরে প্রত্যেক মাসে, প্রতি মিটারে ৫০০ ইউনিট বিদ্যুতের চাহিদা থাকে। গত কয়েক দিনের গরমে অনেকেই বাড়িতে এসি ব্যবহারের সময় সেটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য অনেকেই অফিসে এসে যোগাযোগ করেন। তখনই নতুন উদ্যোগের কথা জানতে পারেন। তাতে তাঁরা খুশি।