
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
তখন বামফ্রন্টের জমানা। বর্ধমানের একাধিক জায়গায় তখন তাঁরাই শেষ কথা। লালপার্টির রক্তচক্ষুতে সবাই তখন সিঁটিয়ে থাকতেন। কারণ এখানে সিপিএমই শেষ কথা ছিল। সন্ত্রাস, খুনোখুনির অভিযোগও উঠত রোজই। তারপর ২০১১ সালে পালা বদল হয়েছে। পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে সেই দিনগুলির স্মৃতিই উস্কে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বোমা, গুলির শব্দে কেঁপে উঠত মঙ্গলকোট–সহ নানা এলাকা। আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট সংবাদ শিরোনামে আসত।
এদিকে মঙ্গলকোট থানার পাশে লালডাঙা মাঠে নির্বাচনী সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারের সেই সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করলেও বাদ যায়নি সিপিএমের ‘সন্ত্রাসের’ প্রসঙ্গও। অভিষেক এদিন বলেন, ‘মঙ্গলকোটে ২০১১ সালের আগে কেমন পরিবেশ ছিল! ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে, আমার যতদূর মনে পড়ছে দুর্যোধন নামে সিপিএমের এক নেতা ছিল। সিপিএমের নেতা ফাল্গুনি মুখোপাধ্যায় তার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনেছিল। তাই তাকে মেরেছিল। দিলীপ ঘোষ নামে আমাদের এক কর্মীকে হত্যা করেছিল। চোখের মনি খুবলে নিয়ে পুকুর পাড়ে দেহ ফেলে রেখেছিল। এখন সিপিএমের হার্মাদরা জামা বদলে বিজেপির পতাকা ধরে মঙ্গলকোটের কালো দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছে।’
আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘুদের পিটিয়ে মারা হয়েছে’, পুরুলিয়া থেকে ভয়ঙ্কর দাবি মমতার
অন্যদিকে সময় অনেকটা গড়িয়ে গিয়েছে। মানুষের আগের কথা আর মনে নেই। তাই অভিষেকের এই কথায় পুরনো স্মৃতি উসকে উঠেছে। যা মেনে নিতে পারেনি সিপিএম। তাই সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা মঙ্গলকোটের নেতা দুর্যোধন সরের পাল্টা দাবি, ‘২০০৯ সালের ১৫ জুন আমাদের নেতা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় খুন হন। তখন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিকভাবে জন্মই হয়নি। আসলে রাজ্যপাট হারাতে চলেছে এই আশঙ্কায় পিসি–ভাইপোর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলই নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলের কর্মীদের খুন করে। একটা বাচ্চা ছেলের কথায় কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না।’
এছাড়া বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে এসে অভিষেক বলেন, ‘বোলপুরে লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির নয়। এটা পূর্ব বর্ধমান আর বীরভূমের মধ্যে জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর লড়াই। ২০১৯ সালে আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটে জয়ের ব্যবধান ছিল ৭০ হাজারের বেশি। সেটাকে এবার দেড় লক্ষ করতে হবে। সন্দেশখালি নিয়ে শুনেছেন, দেখেছেন কী করেছে! গোধরা শুনেছি। পুলওয়ামার কথা শুনেছি। পরশু নিজের চোখে দেখলাম। মহিলাদের মান–সম্ভ্রম দু’হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বিজেপি। তৃণমূলকে ছোট করতে গিয়ে বাংলার মা–বোনেদের ছোট করেছে। দু’হাজার টাকা দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আর যে অভিযোগ করিয়েছে তাঁকে বিজেপি বসিরহাটের প্রার্থী করেছে।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports